হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া বুধবার বলেছেন, তারা আলোচনায় নমনীয়তা দেখিয়েছে তবে লড়াই চালিয়ে যেতেও প্রস্তুত রয়েছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে হানিয়া বলেন, আমাদের জনগণের রক্তের কথা চিন্তা করে এবং তাদের প্রচণ্ড যন্ত্রণা ও বিশাল আত্মত্যাগের অবসান ঘটাতে, আলোচনায় আমরা নমনীয়তা দেখাই। জনগণকে রক্ষার ইচ্ছার সঙ্গে এর মিল রয়েছে।
রমজানের প্রথম দিনে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের আল আকসা মসজিদে মিছিল করার আহ্বান জানান হানিয়াহ।
প্রসঙ্গত, সোমবারের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে শত্রুতা বন্ধ করতে এবং বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আলোচনার গতি বেড়েছে বলেই তিনি এই আশা করছেন।
প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের কাছে বন্দী কয়েকশ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দী কয়েক ডজন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দিবে।
নিউইয়র্কে সাংবাদিকরা বাইডেনকে কবের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে সেই প্রশ্ন করলে বাইডেন বলেন, আশা করি চলতি সপ্তাহের শেষে অথবা আগামী সপ্তাহের শুরুতে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে জানিয়েছে, আমরা কাছাকাছি আছি। আমার আশা আগামী সোমবারের মধ্যে আমাদের যুদ্ধবিরতি হবে।
এদিকে জ্যেষ্ঠ এক হামাস নেতা বলেন, আমেরিকানরা যদি সত্যিই আশাবাদী হতে চায় তবে তাদের দ্বৈত খেলা শেষ করতে হবে। তারা যুদ্ধবিরতি চাওয়ার কথা বলছে এবং এই অঞ্চলে সংঘাতকে বিস্তৃত করা এড়াতে চাইছে। কিন্তু একই সাথে তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তাদের ভেটো ব্যবহার করছে। ইসরায়েলকে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করছে এবং ইসরায়েলের জন্য আরও গোলাবারুদ সুরক্ষিত করছে।
হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান বাসেম নাইম আল বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
তিনি বলেন, মতের ব্যবধান এখনও বিস্তর। মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আমাদের অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে।