মার্কিন সংগীতশিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের গলায় আর গান শোনা যাবে না। এটি কোনো কানাঘুষো নয়, সত্যি খবর। স্পিয়ার্স নিজেই স্যোশাল মিডিয়ায় এক পোস্টে গানের জগত ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
একটি মার্কিন গণমাধ্যমে কয়েকদিন আগে খবর আসে, এই পপ তারকা তার দশম স্টুডিও অ্যালবামের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। গীতিকারের সঙ্গে কাজে এতটাই ব্যস্ত যে, নাওয়া খাওয়ার সময় নেই স্পিয়ার্সের। এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় স্পিয়ার্স ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে বলেছেন, “এসব খবর আসলে আবর্জনা। কে বলেছে আমি নতুন অ্যালবামের কাজ করছি? আমি আর কখনই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরছি না।”
স্যার এলটন জনের সঙ্গে ‘হোল্ড মি ক্লোজার’ গানটি গেয়ে ২০২২ সালের আগস্টে বিরতি ভেঙেছিলেন স্পিয়ার্স। টাইনি ড্যান্সার, দ্য ওয়ান এবং ডোন্ট গো ব্রেকিং মাই হার্ট- এলটন জনের এই তিনটি হিট গান সামার ফ্রেস ক্লাব বিটে ফেলে তৈরি হয়েছে ‘হোল্ড মি ক্লোজার’।
এর মধ্যে ‘দ্য ওম্যান ইন মি’ শিরোনামে স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন স্পিয়ার্স। ওই বইয়ে নিজের গল্পের সঙ্গে স্বাধীনতা, খ্যাতি, মাতৃত্ব, টিকে থাকা, আশা আর বিশ্বাসের কথা বলেছেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে সঙ্গীত তার মূল লক্ষ্য নয়।
বাবার টানা ১৩ বছরের আইনি অভিভাবকত্ব থেকে ২০২১ সালের নভেম্বরে মুক্তি মেলে ব্রিটনির। ওই ১৩ বছর তাকে জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আদালতে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নিজের অর্থ, কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা ফিরে পান তিনি ।
ভক্তরা চাইছিল, সংগীতেও ফিরে আসুক ব্রিটনি। প্রতুত্তরে তিনি বলেছিলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমার জীবনে ভয়ঙ্কর যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা তাদের নেই। আমি আসলে এখন মানুষ আর কাজ নিয়ে ভয় পাই!”
এর মাঝে বছরখানেকের বেশি এক ছাদের নিচে থাকার পর স্যাম আসগারির সংসার থেকে বিচ্ছেদ নেন স্পিয়ার্স। ৪১ বছর বয়সী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সঙ্গে ১২ বছরের ছোট স্যাম আসগারির বাগদান হয়েছিল ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে। ১০ মাস পর ২০২২ সালের জুনে ছোট পরিসরে কিন্তু তারকাবহুল অনুষ্ঠানে তারা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন। এর ১৪ মাস পর ২০২৩ সালের অগাস্টে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই দম্পতি।