আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে চান কারুনারাত্নের

0

বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে বেশ আগেই। টেস্ট অধিনায়কত্বকেও বিদায় বলে দিয়েছেন দিমুথ কারুনারাত্নে। এই বয়স আর পারিপার্শ্বিকতায় শেষের ডাক শুনতে পান অনেকে। কিন্তু তার দৃষ্টি এখনও অনেক দূরে। নিজের ক্যারিয়ারকে নিয়ে যেতে চান অনেক উঁচুতে। শ্রীলঙ্কার টেস্ট ইতিহাসের সফলতম ওপেনারের চাওয়া, এই সংস্করণে একশ ম্যাচ খেলা। এরপর তিনি ছুটতে চান ১০ হাজার টেস্ট রানের ঠিকানায়।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে কলম্বোতে চলতি টেস্টটি এই সংস্করণে কারুনারাত্নের ৮৯তম ম্যাচ। দুই দলের লড়াইয়ের প্রথম ইনিংসে তিনি আউট হন ৭৭ রানে। টেস্ট এখন পর্যন্ত তার রান ৬ হাজার ৭০৮। সেঞ্চুরি ১৬টি ও ফিফটি ৩৫টি, ব্যাটিং গড় ৪১.১৫। বয়স অনেক হলেও নিজেকে এখনও দারুণ ফিট মনে করেন তিনি। ব্যাট হাতেও সময়টা খারাপ যাচ্ছে না তার। ফিটনেস ও ছন্দ ধরে রাখতে পারলে বছর তিনেকের মধ্যে নিজের দুটি লক্ষ্যেই পৌঁছাতে পারবেন বলে আশাবাদী বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে আমার ফিটনেস ভালো। এই সংস্করণে ভালো ‘লেগাসি’ রেখে যেতে চাচ্ছি। ৭ হাজার রানের কাছাকাছি আছি, হয়তো আগামী দুই কিংবা তিন বছরে বাকি তিন হাজার করে ফেলতে পারব। এই দুটি আমার লক্ষ্য। এজন্য আমাকে ফিটনেস ধরে রাখতে হবে এবং ধারাবাহিক হতে হবে।

এমনিতে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই পরিসংখ্যানের খুটিঁসাটি দিকগুলো তো দূরের কথা, সাধারণ সংখ্যাগুলোর খেয়ালও রাখেন না। তবে কারুনারাত্নে ব্যতিক্রমীদের দলে। পরিসংখ্যানপ্রেমী হিসেবে বরাবরই পরিচিত আছে তার। এবারও সেই প্রমাণ দিলেন তিনি।

ওপেনার হিসেবে টেস্টে কারুনারাত্নের রান এখন ৬ হাজার ৬১৫। লঙ্কানদের মধ্যে ইনিংসের শুরুতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড আরও আগেই গড়েছেন তিনি। ৫ হাজার ৯৩২ রান নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে সানাৎ জায়াসুরিয়া।

তবে টেস্টে লঙ্কানদের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় পঞ্চম স্থানে কারুনারাত্নে। ১০ হাজারের বেশি রানই আছে দুইজনের, কুমার সাঙ্গাকারা (১২ হাজার ৪০০) ও মাহেলা জায়াওয়ার্দেনের (১১ হাজার ৮১৪)। ৭ হাজার ৫০২ রান নিয়ে তিনে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও চারে থাকা জায়াসুরিয়ার রান ৬ হাজার ৯৭৩।

সাঙ্গাকারা ও জায়াওয়ার্দেনে আপাতত নাগালের বাইরে। তবে অন্য দুইজনকে ছাড়িয়ে যেতে চান কারুনরারাত্নে। এমন একটা জায়গায় গিয়ে থামতে চান, যেন অসরের পর ক্যারিয়ারের দিকে তাকিয়ে ফেলতে পারেন স্বস্তির নিঃশ্বাস।

কারুনরারাত্নে জানান, হ্যাঁ, আমি এমন একজন ক্রিকেটার যে নিজের পরিসংখ্যান খুব ভালোভাবে জানি এবং অন্যদের সঙ্গে তুলনা করি। (সবচেয়ে বেশি রানের) তালিকায় সানাৎ আইয়া (বড় ভাই) আছে, এরপর আছে অ্যাঞ্জেলো। আমি আমার লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করছি যেন অবসরের পর ফিরে তাকিয়ে তৃপ্তি পেতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ক্রিকেট খেলা এবং জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা যথেষ্ট নয়। আমাকে অনেক সন্তুষ্টি দেয় বলেই এই সংস্করণ আমার কাছে এত পছন্দের। একজন একজন করে এই কিংবদন্তিদের আমি ছাড়িয়ে যেতে চাই। কিছুটা হলেও সেটা করতে পেরেছি। আরও করার চেষ্টা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here