সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিমানের টিকিট নিয়ে বিড়ম্বনায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দুটি ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা দেশে যান। আর যে এয়ারলাইনসেরই টিকিট কাটতে চান, আপনাকে ধরে নিতে হবে ওয়ানওয়ে যাত্রায় আপনাকে গুনতে হবে প্রায় ৭০ হাজার টাকার ওপরে।
এমনই নৈরাজ্য চলছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ যাত্রার বিমান টিকিট নিয়ে। অথচ এসব গন্তব্যে যারা যাচ্ছেন, তাদের প্রায় সবাই প্রবাসী শ্রমিক, দেশে আসা রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা। উৎসব আয়োজন ঘিরে প্রবাসীদের আশা আকাঙ্ক্ষা থাকে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার।
দুবাই থেকে ঢাকা বা চট্টগ্রাম ওয়ানওয়ে বিমান টিকিট বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২৪০০ ও ৩ হাজার দিরহামে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০ হাজার টাকার ওপরে। কোনো কোনো ট্রাভেলস এজেন্সিতে ঈদের আগে নেই বাংলাদেশ বিমানের কোনো টিকিট। তবে দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে ট্রাভেলস এজেন্সি বলছে, উৎসবের মৌসুমগুলোতে দাম এমন চড়াই থাকে।
সাংবাদিক জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছরই প্রবাসীরা দেশে যান। আর এই সময়টাতেই অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয় তাদের। বছরের পর বছর প্রবাসীদের শ্রমে-ঘামে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হলেও টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেন না অনেকেই।
বাংলাদেশ বিমান দুবাইয়ের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাকিয়া সুলতানা বলেন, এই সময় টিকিটের চাহিদা থাকে বেশি। ঈদের আগে আমিরাত থেকে বিজনেস ও ইকোনোমি ক্লাসের সব টিকিটই বুকিং হয়ে গেছে। অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার ইচ্ছে থাকলেও হজের জন্য তা সম্ভব হয়নি।
এতে অনেক প্রবাসী দেশে ফেরার পরিকল্পনা বাতিল করছেন। কেউ কেউ বাতিল করেছেন ছুটির আবেদন। এমন অবস্থায় ঈদ বা উৎসব আয়োজনে বিমান টিকিটের মূল্য হ্রাস ও পর্যাপ্ত ফ্লাইট সুবিধা দেওয়ার দাবি করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।