সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশি চিকিৎসকের চাহিদা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে সেই শূন্যস্থান পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। অসংখ্য চিকিৎসক আমিরাতের স্বাস্থ্য সেবার লাইসেন্স পেলেও ভিসা জটিলতার কারণে দেশটিতে পৌঁছাতে পারেননি।
রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত দূতাবাসের হল রুমে ‘আমিরাতে চিকিৎসা সেবার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাংলাদেশি চিকিৎসকের সংখ্যা মাত্র ২৬৩ জন। ফার্মাসিস্ট ও নার্সের সংখ্যাও অত্যন্ত কম।
বক্তারা আমিরাতে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের বর্তমান কর্মপরিবেশ, পেশাগত সুযোগ-সুবিধা, ভিসা জটিলতা, পরিবার দেশে রেখে কাজ করার মানসিক চাপসহ নানান চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। তারা জানান, আমিরাতে বসবাসরত প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি নিজের দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভাষাগত সমস্যার কারণে অনেক প্রবাসী বিদেশি চিকিৎসকদের কাছে রোগের বর্ণনা দিতে পারেন না।
বাংলাদেশী স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, আমিরাতের স্বাস্থ্য সেবার ৮০ শতাংশ দখলে ভারতীয় চিকিৎসকদের। অবশিষ্ট অংশ পাকিস্তান, মিশর, সুদান, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের চিকিৎসকদের হাতে।
এদিকে প্রবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের এশিয়ান হেলথ কেয়ার গ্রুপ একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করার পরিকল্পনা করছে, যেখান থেকে প্রবাসীরা স্বল্প খরচে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন।
সেমিনারে আমিরাতে বাংলাদেশ নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামান, দূতাবাস কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন, এশিয়ান হেলথ কেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. সালাউদ্দিন আলী, মিশনের কর্মকর্তারাসহ বাংলাদেশি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও আমিরাতে বাংলাদেশ মিশনের যৌথ উদ্যোগে স্বাস্থ্যখাতে বিদ্যমান নানা চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হবে। পাশাপাশি আমিরাতে বাংলাদেশি ডাক্তার, নার্স ও ফার্মাসিস্টের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

