জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ লক্ষ্যে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী ৯০ শতাংশ মেয়েকে হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৫ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সী নারীদের জন্য নিয়মিত জরায়ুমুখ ক্যান্সার স্ক্রিনিং চালু করা হয়েছে।
সম্প্রতি দেশটির স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় এইচপিভি সংক্রান্ত রোগ মোকাবেলায় এই ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল মডার্ন হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজির কনসালটেন্ট ড. মুস্তফা আলদালির মতে, এইচপিভি টিকাদানের হার বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি টিকা কীভাবে তৈরি করা হয় সেটির ওপর নির্ভর করে। যখন অভিভাবকরা বুঝবেন যে, এইচপিভি টিকা কেবল যৌনবাহিত সংক্রমণের জন্য নয়, তখন তারা সন্তানদের এই টিকা দেওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনা আগ্রহী হবেন। এজন্য স্কুল-ভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচি, শিশু বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অনুমোদন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মেডকেয়ার উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শিবা হরিশ্ননও প্রাথমিক টিকাদানের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেছেন।
তিনি বলেন,“১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই মেয়েদের এইচপিভির বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের উৎসাহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার আগেই টিকা দেওয়া হলে এটি সবচেয়ে কার্যকর হয়।
তিনি আরও বলেন, “অনেক মানুষ এইচপিভির ক্যান্সারের সঙ্গে যোগসূত্র সম্পর্কে অবগত নন, অথবা তারা টিকার নিরাপত্তা এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল বোঝেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা তো রয়েছেই।” সূত্র: খালিজ টাইমস