বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস বলেছেন, অনেকদিন ধরে ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে গরুর মাংস আমদানির কথা থাকলেও আগের সরকারের সময় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং সার্টিফিকেশন না পাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ব্রাজিল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ব্রাজিল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) সহ-সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহাসচিব জয়নাল আবেদিন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি বিগত সরকারের সময় এ বিষয়ে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। প্রথমে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আসা কর্মকর্তারা নানান নীতিমালা দেন। শেষ পর্যন্ত গরুর মাংস আমদানির অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে এখন অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি গরু দিনে ৫ কেজি দুধ দেয়, কিন্তু ব্রাজিলের একটি গরু দিনে ৪৫ কেজি দুধ দেয়। আমরা বাংলাদেশে প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারি, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে আমিষের চাহিদা পূরণ হবে।
রফতানিযোগ্য পণ্যের প্রচার, বাজার বৈচিত্র্যকরণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার এবং লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে নেটওয়ার্কিং সহজ করার লক্ষ্যে বিবিসিসিআই চলতি বছরের ১৫-১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে প্রথমবারের মতো ‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিবিসিসিআই সহ-সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ব্রাজিলে বাংলাদেশের বিশাল বানিজ্যের সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতামূলক নয় বরং সহায়তামূলক। ল্যাটিন আমেরিকায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’ বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশি আমদানিকারকদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন বাজারে প্রবেশ এবং তাদের ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী উন্নীত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিবিসিসিআই মহাসচিব মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ব্রাজিলে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ফার্মাসিটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি ব্রাজিল থেকে মিনারেল, ফুয়েল, অয়েল, বিফ, পোল্ট্রি, আমদানি করা যেতে পারে। বাণিজ্যের পাশাপাশি ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন মেড ইন বাংলাদেশ এক্সপোর মাধ্যমে।