রংপুর অঞ্চলে আমন ধানের বীজতলা পরিচর্যা ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে প্রকৃতি নির্ভর এই ধান চাষে প্রকৃতি সদয় হয়ে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে না। কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা কিছুটা চিন্তিত রয়েছে।
রবিবার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ১১১ শতাংশ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আমির হোসেনসহ কয়েকজন জানান, বীজ তলার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ দিন হলে তা জমিতে রোপন করা হয়। এক দোন (২৪ শতক) জমির জন্য চারা কিনতে দাম পড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। বীজতলা নষ্ট হলে দাম আরও বেড়ে যায়। তাই জমিতে রোপণ না করা পর্যন্ত বীজতলায় চারার পরিচর্যা অব্যাহত রাখছেন। প্রায় একই ধরনের দুঃশ্চিন্তার কথা বললেন পীরগাছা উপজেলার কল্যানি ইউনিয়নের বোরো চাষি নজরুল ইসলাম বুলবুলসহ আরও কয়েকজন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলা নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় প্রায় ৬ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৩২ মেট্টিক টন। এক হেক্টর জমির বীজতলা দিয়ে ২০ হেক্টরে চারা লাগানো যায়। সেই হিসাবে কমপক্ষে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে এই মৌসুমে। যা শতকরা হিসাবে ১১১ শততাংশ। রবিবার পর্যন্ত ১৬ শতাংশ ধানের চারা রোপন করা হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।