নোয়াখালীর সদর উপজেলার মাইজদী হাসপাতাল সড়কের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখা ভেসে উঠেছে। এই ঘটনায় রাতে হাসপাতালে আংশিক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে বুধবার চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল রোডের সিটি হসপিটাল প্রাইভেটের মূল ফটকের ডিসপ্লেতে এই লেখা ভেসে উঠে। ঘটনার পর পরই বিএনপি পরিচয়ে নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান।
সিভিল সার্জন অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাসপাতাল রোডের সিটি হসপিটাল প্রাইভেটের ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখা ভেসে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতালের সামনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সিটি হসপিটাল প্রাইভেটের ম্যানেজার কাজী মো.শাহজাহান নাজিম বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে প্রথম হাসপাতালে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, লেখা ভেসে উঠে। তখন আমাদের নৈশ প্রহরী সেটা ডিসকানেক্ট করে দেয়। পরে এটা নিয়ে আর কোনো কথাবার্তা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আবার ডিসপ্লেতে কানেকশন দেয় এরপর লেখাটি পুনরায় ভেসে উঠে। ডিসপ্লেলের হাসপাতালের কোন অ্যাপে, তারে বা মোবাইলে নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি হাসপাতালের বাহিরে থাকা একটি পেনড্রাইভের মাধ্যমে চলে।
ম্যানেজার নাজিম অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে ডিসপ্লেতে লেখা ভেসে উঠে নাই। এটি ঘটানো হয়েছে। এরপর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকারসহ হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। হসপিটালের ডাক্তার সালমা ইসলামের সাথে স্থানীয় এক ব্যক্তির পূর্ব বিরোধ ছিল। ধারণা করছি ওই বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটানো হয়। এ বিষয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহিদকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে এবং ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।