আবারও ঘুরে দাঁড়ানোয় চেষ্টায় নেত্রকোনার কৃষকরা

0

তিন দফায় বন্যার আগ্রাসনে রোপা-আমন ধানের ক্ষতির পর আবারও ঘুরে দাঁড়ানোয় চেষ্টায় নেত্রকোনার কৃষকরা। একই সাথে হাওরাঞ্চলের একটি মাত্র এই বোরো ফসলের আশায় দিনরাত এক করে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বোরো ফসল উৎপাদনে খরচ বেশি হলেও এই অঞ্চলে অনেকের কৃষি ছাড়া অন্য কোনও পেশা নেই। ফলে আগাম বন্যায় হাওরে শঙ্কার মাঝেই তাদের ক্ষতি পোষানোর আশা। 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এরমধ্যে হাওরাঞ্চলে ৪১ হাজার ৭০ হেক্টর। গেল রোপা আমন মওসুমে আবাদ হয়েছিলো ১ লাখ ৩০ হাজার ৫০ হেক্টর। এরমধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ২১ হাজার ৬২৭ হেক্টর। এতে মোট ৭৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ২৬ হাজার কৃষককে দেয়া হযেছে সরকারি প্রণোদনা। ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী- জেলার ১০ উপজেলায় মোট কৃষক রয়েছেন ৪ লাখ ৮২ হাজার। এরমধ্যে হাওরাঞ্চলেই রয়েছে লক্ষাধিক।

হাওর অধ্যুষিত নেত্রকোনা জেলার মদনের কাইটাইল গ্রামের স্পন মিয়া আর বাবুল মিয়া জানান, এক বস্তা সারের দাম ১৪০০ টাকা। এদিকে কাঠা প্রতি জমিতে চারা রোপনে কৃষকদের খরচ হচ্ছে ৫০০ টাকা। তার উপরে সেচের জন্য লাগছে আবার ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। এভাবে ধান চাষ করে দিনে দিনে খরচ বাড়লেও বাড়ে না ধানের দাম। তারপরও খেয়ে পড়ে বাঁচার লড়াইয়ে থাকেন তারা। অনেকে শঙ্কায় রয়েছেন গেল আমন মওসুমে উঁচু এলাকার ধান তলিয়ে গেছে আর হাওর তো এমনিতেই নিচু। যে কারণে ভয় কাজ করছে তাদের।  

গণেশের হাওরে তুলছেন বীজতলা তোলার সময় কৃষক স্বপন মিয়া আরও বলেন, ইতিমধ্যে ১০ কাঠা জমিতে চারা রোপন করলেও তার বাকি রয়েছে আরও ৪০ কাঠা। তবে বৈশাখ মাসে সারের এক বস্তার সমান দরও যদি হয় ধানের দাম তাও বাঁচবে। না হয় ঢাকা যেতে হবে পরিবার নিয়ে। 

কৃষি অধিদফতরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন,  হাওরাঞ্চলে যেহেতু আগাম বন্যার আশঙ্কা থাকে তাই কৃষকদেরকে স্বল্প জীবনকালীন ধানের বীজ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সারের মজুদ রয়েছে। সেচের কোনও সমস্যা নেই। তবে বড় ধরনের কোন দুর্যোগ না হলে এবার বোরো থেকে আগের ক্ষতি পুষিয়ে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here