আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল

0

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে।

আজ রবিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।

রায়ের পর, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘এ রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি কঠোর বার্তা।’

তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি যে ধারণা, এই রায়ের মাধ্যমে সে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হলো।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে এই বার্তা গেল যে, আপনি যত শক্তিশালী হন না কেন, আপনার পেছনে যত শক্তি থাকুক না কেন সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে। ন্যায়বিচার হবেই।

তিনি বলেন, আবরার ফাহাদের মৃত্যু এটাই প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেছে যে, ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠে সব ফ্যাসিজমকে ভেঙে দুমড়েমুচড়ে দিতে পারে।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। এর পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে বলা হয়, আবরারকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হত্যা করা হয়। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন, এবং ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এবং পরে ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়। আজ ১৬ মার্চ হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here