কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসিকে ঘিরে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সকল ক্রীড়াপ্রেমীর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। আজ সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং মর্মাহত।’
মমতা ব্যানার্জি নিজেও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্টেডিয়ামে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসির পাশাপাশি সমস্ত ক্রীড়াপ্রেমী ও তার ভক্তদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।
পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘঠনা রোধে সুপারিশও করবে। তিনি বলেন ‘আমি বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছি, যার সদস্য হিসেবে থাকবেন মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। কমিটি এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে।’
বিশ্ব ফুটবলের তারকা লিওনেল মেসি ‘জিওএটি ইন্ডিয়া ট্যুর–২০২৫’-এর অংশ হিসেবে শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতায় পৌঁছান। শনিবার সকালে যুবভারতী স্টেডিয়ামে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। চড়া দামে টিকিট কেটে গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ করেন দর্শক-ভক্তরা।
তবে মাঠের ভেতরে অব্যবস্থাপনা ও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অধিকাংশ দর্শক মেসিকে ঠিকমতো দেখতে না পারায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উত্তেজিত দর্শকরা গ্যালারির চেয়ার ভেঙে মাঠে ছুড়ে ফেলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, নিরাপত্তার স্বার্থে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেডিয়াম ছাড়তে বাধ্য হন মেসি।
পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে যান তিনি। আর সেখান থেকে রওনা দেন হায়দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে।
এদিকে, এ ঘটনার পর রাজ্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্সে বলেছেন, ‘মমতা ব্যানার্জির রাজত্ব মানেই চূড়ান্ত নৈরাজ্য আর অব্যবস্থা!’

