আজ ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মানসিক স্বাস্থ্য সর্বজনীন মানবাধিকার’।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপের সর্বশেষ ফলাফলে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮.৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২.৬ শতাংশ শিশু-কিশোর মানসিক রোগে ভুগছে।
বিশেষজ্ঞরা মূলত মানসিক রোগকে দুই ভাগে ভাগ করে থাকেন। এর মধ্যে গুরুতর হলো সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার মুড ডিস-অর্ডার, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতা, আলঝেইমার্স। সাধারণ মানসিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, শুচিবায়ু, ফোবিয়া বা ভীতি ও বিষণ্নতায় ভোগা। বাইপোলার ডিস-অর্ডার দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যা। ওষুধ বা চিকিৎসার মাধ্যমে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন দেশের কমপক্ষে ৩৭.৬ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের শিশু মনোরোগ বিভাগের প্রধান ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫ থেকে ৩৩ শতাংশ গুরুতর মানসিক রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়।
দেশে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, ৭ থেকে ১৮ বছর বয়সে শিশু-কিশোরদের প্রায় ১২.৬ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত। ২০০৯ সালের জরিপে এই বয়সী শিশুদের মানসিক সমস্যার হার ছিল ১৮.৪ শতাংশ। শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার ৬ শতাংশ কমেছে।