আজ পুরুষদের দিন

0

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস। মানে আজকের দিনটি পুরুষদের। তবে বিশ্বজুড়ে নারী দিবস ঢাকঢোল পিটিয়ে পাল করা হলেও পুরুষ দিবস সেভাবে পালনের রেওয়াজ নেই। 

তবে ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস পাল করা হয়ে থাকে। এদিন প্রিয় পুরুষ- বাবা, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যে কাউকে চাইলে আপনি শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। দিতে পারেন উপহারও। কারণ, কর্মক্লান্ত জীবনে বিশেষ কোনো দিনে উপহার পেলে যেকারো ভালো লাগবে নিশ্চয়ই।

এর পরের দশক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদাভাবে পুরুষ দিবস পালন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, কলম্বিয়া, রাশিয়া ও চীনে উদ্‌যাপন করা হতো দিবসটি। তবে ভিন্ন ভিন্ন এ উদ্যোগ তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। একসময় বন্ধও হয়ে যায়। অবশেষে ১৯৯৯ সালে জিরোম টিলাকসিংয়ের নির্ধারিত দিনটিই বিশ্ব পুরুষ দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। তবে দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ, চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।

এটা মনে রাখতে পুরুষ দিবসের উদ্দেশ্য নারী দিবসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়। বরং পুরুষের সামাজিক অভিজ্ঞতাকে সবার কাছে তুলে ধরা এই দিবসের উদ্দেশ্য। তাই সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি উদযাপন করা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here