আজ থেকে গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের জন্যও খুলছে রাফাহ ক্রসিং

0

ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের খুলে দেওয়া হচ্ছে রাফাহ ক্রসিং। এখন থেকে আহত ফিলিস্তিনিরা রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে মিশরের উত্তর সিনাই অঞ্চলে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে পারবেন। 

মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ তথ্য জানিয়েছেন সিনাইয়ের গভর্নর মোহামেদ শোশা।

রাফাহ ক্রসিং কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ওয়ায়েল আবু মোহসিন জানিয়েছেন, বুধবার থেকেই আহত ফিলিস্তিনিরা চিকিৎসা নিতে ‍উত্তর সিনাইয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

মিশরের সিনাই অঞ্চল থেকে গাজা উপত্যকাকে পৃথক করা এই সীমান্তপথটি উপত্যকার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরো দুটি সীমান্তপথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং ইসরায়েলের ইচ্ছা অনুযায়ী সেগুলো খোলা বা বন্ধ থাকে।

৩৬৫ কিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। যাদের এক তৃীতিয়াংশেরও বেশি সরাসরি জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার ত্রাণ এবং আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। অপর দুই সীমান্ত প্রায় সময়েই বন্ধ থাকায় এই রাফাহ ক্রসিং দিয়েই গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ত্রাণ। এ কারণে এই ক্রসিংটি গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘লাইফ লাইন’ নামেও পরিচিত।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওই দিন থেকেই সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর পর ৯ অক্টোবর সীমান্তে গোলা বর্ষণের কারণে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছিল মিশর। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যস্থতায় গত ২১ অক্টোবর তা খুলে দেওয়া হয়। তবে মিসরের পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল— এই সীমান্ত পথ দিয়ে কেবল ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারবে এবং ফিলিস্তিন থেকে কোনো ব্যক্তিকে এই সীমান্ত দিয়ে মিশরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বোমা হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫২৫ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে অন্তত ২১ হাজার ৫৪৩ জন। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here