বগুড়ায় আগাম জাতের সবজির সাড়ে দশ কোটি টাকার চারা বিক্রি করছেন কৃষকরা। জেলার শাজাহানপুর উপজেলার শাহ নগর গ্রামে চাষীরা ৩০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৩০০টির বেশি নার্সারিতে এসব চারা উৎপাদন করে যাচ্ছেন।
এই মৌসুমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে চাষিরা শীতকালীন আগাম জাতের সবজির চারা বিক্রি করে থাকেন। চাষীরা প্রথম ধাপে চারা বিক্রি শুরু করেন। এরপর দ্বিতীয় ধাপে পুরোদমে বিক্রির দুম পড়ে যায়। আর তৃতীয় ধাপে এসে তুলনামূলক কম বিক্রি হয়ে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়া জেলায় শাজাহানপুর উপজেলার শাহানগর সবজি নার্সারি পল্লীতে কৃষকতের পদচারণায় এখন মুখর। শাহ নগরে সবজি চারা পল্লীতে চারা ভলো হওয়ায় নতুন নতুন জেলা থেকে কৃষকরা আসছেন চারা নিতে। এখানে ৩০০টিরও বেশি নার্সারি থেকে মরিচ, বেগুন টামেটো, ফুল কপি, বাাঁধা কপি, পালং শাকের চারা কিনতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কৃষক এসে অবস্থান করছেন শাহ নগরে। গত ৩০ বছর আগে স্বল্প পরিসরে সবজি চারা উৎপাদন হতো এই এলাকায়। কিন্তু এখন উপজেলার, কামারপাড়া, মোস্তাইল ও শাহ নগরের অঞ্চল জুড়ে সবজি চারার চাষ করছেন নার্সারি মালিকরা।
জানা যায়, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাহনগর এলাকায় গড়ে ওঠেছে দেশের সর্ব বৃহৎ সবজি নার্সারি পল্লী। এখানে রীতিমতো সবজির চারা উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। ১৯৮৫ সালের দিকে প্রথমে শাহনগর বড়পাথার এলাকায় সবজি নার্সারি ব্যবসা শুরু হয়। বর্তমানে শাহনগর, বড়পাথার, চুপিনগর, দুরুলিয়া, বৃ-কুষ্টিয়া, খোট্রাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামজুড়ে গড়ে উঠেছে প্রায় ৩০০টি ছোট বড় নার্সারি। এখানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, পেঁপেসহ হাইব্রিড জাতের ৮ থেকে ৯ রকমের মরিচের চারা উৎপাদন করা হয়। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষসহ হাজারো মানুষের। শাহনগরের নার্সারি পল্লী থেকে দেশের প্রায় ৪০টি জেলা থেকে চারা নিতে ভিড় করছেন কৃষকরা। নার্সারিগুলো ঘুরে ঘুরে পছন্দের চারা সংগ্রহ করছেন তারা। বছরের আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আগাম শীতকালীন সবজি চারা নিতে ক্রেতায় মুখরিত থাকে এ অঞ্চল।