সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহাত বলেছেন, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং অবরুদ্ধ উপকূলীয় ছিটমহলটিতে মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে তিনি চীন সফরে যাবেন। এটি একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সূচনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। নির্বিচারে তারা গাজায় বোমা হামলা চালাচ্ছে। এতে অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি গাজায় অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ এবং সমস্ত যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির আহ্বান জানান।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন, ‘এটি একটি মানবিক বিপর্যয়, যেখানে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এটি বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বের দ্বিমুখী নীতি এখানে প্রমাণিত হয়েছে।’
মোহাম্মদ বিন সালমান আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে ইসরায়েলি দখলদারি, অবৈধ বসতি স্থাপনের অবসান, এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিষ্ঠিত অধিকার পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র অবলম্বন। এ জন্য ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এদিকে গাজা উপত্যকায় আরও একটি স্কুলে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার সকালে জাতিসংঘের পরিচালিত আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্কুলটি এখন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
গত শুক্রবার গাজা নগরীর দক্ষিণাঞ্চলীয় জেইতুন এলাকার আল ফালাহ বিদ্যালয়ে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। ‘প্যালেস্টাইন টিভি’র খবরে বলা হয়েছে, এ হামলায় ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০০ জন।