আইফোনে থাকা বিভিন্ন প্রযুক্তি সুবিধার সেটিংস অপশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে থাকে অ্যাপল। এরপর ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাসসহ বিভিন্ন তথ্য তৃতীয় পক্ষের একাধিক অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের কাছে পাঠাতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনের দর্শক এবং বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর তাই আইফোন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে তিনটি অপশন ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ‘দ্য আলটিমেট প্রাইভেসি প্লেবুক’–এর লেখক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ চিপ হ্যালেট।
চিপ হ্যালেট জানিয়েছেন, আইফোনে থাকা সাফারি ব্রাউজারের ‘প্রাইভেসি প্রিজার্ভিং অ্যাড মেজারমেন্ট’ অপশনটি বন্ধ রাখতে হবে। এটি চালু থাকলে ব্যবহারকারীরা কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখছেন বা ক্লিক করছেন—তা তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইটের কাছে পাঠানো হয়। যদিও অ্যাপল জানিয়েছে, এতে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সরাসরি পাঠানো হয় না এবং গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে। তবু যাঁরা নিজেদের অনলাইন ইতিহাসের তথ্য গোপন রাখতে চান, তাঁদের এই সেটিংস বন্ধ রাখা উচিত। সেটিংসটি বন্ধ করতে প্রথমে আইফোনের সেটিংস অ্যাপ খুলে সাফারি অপশনে যেতে হবে। এরপর একেবারে নিচে থাকা ‘অ্যাডভান্সড’ অপশনে প্রবেশ করে ‘প্রাইভেসি প্রিজার্ভিং অ্যাড মেজারমেন্ট’ টগলটিটি বন্ধ করে দিতে হবে।
দ্বিতীয় অপশনটি হলো ট্র্যাকিং। ট্র্যাকিং অপশন চালু থাকলে, বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের তথ্য পর্যালোচনা করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। ‘সেটিংস থেকে প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি’ মেনু থেকে ট্র্যাকিং অপশন নির্বাচন করে ‘অ্যালাউ অ্যাপস টু ট্র্যাক’ নির্বাচন করলেই অপশনটি বন্ধ হয়ে যাবে।
সম্প্রতি উন্মুক্ত হওয়া অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা নিয়েও ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছেন হ্যালেট। তিনি জানান, অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বিভিন্ন অ্যাপ থেকে তথ্য নিয়ে কাজ করে। এই সুবিধাটি যাতে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে না পারে, সে জন্য সেটিংস থেকে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিরি মেনুতে যেতে হবে। সেখানে লার্ন ফ্রম দিস অ্যাপ, সাজেস্ট অ্যাপ এবং সাজেস্ট নোটিফিকেশন—এই অপশন তিনটি বন্ধ করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল