বল হাতে আগেই ম্যাচের অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও ওয়াকার সালামখিল। ব্যাট হাতে বাকি দায়িত্বটা নিখুঁতভাবে সামলালেন শায়ান জাহাঙ্গীর ও জর্ডান কক্স। তাতেই আইএল টি–টোয়েন্টির প্লে–অফে এক পা দিয়ে রাখল দুবাই ক্যাপিটালস।
দুবাইয়ে বুধবার প্রথমে ব্যাটিং করা শারজাহ ওয়ারিয়র্সকে ১৩৪ রানে আটকে দেয় মোহাম্মদ নবি নেতৃত্বাধীন দল দুবাই ক্যাপিটালস। জবাবে ৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে তারা।
লিগ পর্বের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় দুবাই। চার ওভারে বল করে মোস্তাফিজ তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে আজ বাংলাদেশি পেসারের সামনে ছিল দুটি সমীকরণ—ওয়াকার সালামখিলের উইকেটসংখ্যায় সমতা আনা এবং তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া। প্রথমটি পূরণ হলেও দ্বিতীয়টি অধরাই থেকে যায়। কারণ ৮ ইনিংসে ১৫ উইকেট নেওয়া আফগান স্পিনার এদিন আরও দুটি উইকেট শিকার করে আবারও এককভাবে শীর্ষে উঠে যান।
টুর্নামেন্টে মোস্তাফিজের উইকেটসংখ্যা এখন ১৫। শীর্ষে থাকা সালামখিলের সঙ্গে সমতায় পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত একক নেতৃত্বের স্বাদ পাওয়া হলো না কাটার মাস্টারের।
রান তাড়ায় দুবাইকে আত্মবিশ্বাসী সূচনা এনে দেন শায়ান জাহাঙ্গীর ও জর্ডান কক্স। ৫১ রান করে শায়ান ফিরলেও, কক্স ছিলেন শেষ পর্যন্ত অবিচল—৫০ বলে অপরাজিত ৬১ রান। প্রায় পুরো ইনিংস জুড়েই জয়ের পথে থাকা দুবাই এক মুহূর্তে চাপে পড়ে ইনিংসের ১৮তম ওভারে। তাসকিন আহমেদের করা সেই ওভারে প্রথম বলে চার খেলেও পরের বলেই লিউস ডু প্লয়কে ফিরিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান তিনি। ওই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে লড়াইটা জমিয়ে তোলেন তাসকিন।
কিন্তু ১৯তম ওভারে টিম সাউদির কাছ থেকে ১৮ রান বের করে নেওয়ার পরই শারজাহর জয়ের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যায়। শেষ ওভারের প্রথম বলেই রোভম্যান পাওয়েলের ছক্কায় তাসকিনের উপর দিয়েই ম্যাচের ইতি টানে দুবাই। এর আগেও দুই দলের প্রথম দেখায় শারজাহকে হারিয়েছিল তারা।
৯ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে দুবাই ক্যাপিটালস। অন্যদিকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরেই রইল শারজাহ ওয়ারিয়র্স।

