অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে চমকের নাম জেইক ওয়েদারল্ড। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রায় ১০ বছরের ক্যারিয়ারে ৭৬ ম্যাচ খেলে ৫ হাজার ২৬৯ রান করার পর জাতীয় দলের দুয়ার খুলল ওয়েদারল্ডের জন্য। ৩১ বছর বয়সে প্রথমবার ডাক পেলেন তিনি অস্ট্রেলিয়া দলে। সব ঠিক থাকলে ২১ নভেম্বর শুরু পার্থ টেস্টে উসমান খাওয়াজার সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টে চমকপ্রদ অভিষেকের পর ক্রমেই ম্রিয়মান হয়ে পড়া কনস্টাস সবশেষ টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজে চার ইনিংসে রান করেন মোট ৪২, দুটিতে আউট হন শূন্য রানে। ২০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকেই রাখা হবে নাকি মার্নাস লাবুশেনকে ওপেনিংয়ে খেলানো হবে, এসব নিয়ে নানা টানাপোড়েনের খবর গত কিছুদিনে নিয়মিত ছিল অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমে। ওয়েদেরল্ডের আলোচনাও কিছুটা ছিল, তবে ততটা তীব্র নয়। শেষ পর্যন্ত তাকেই বেছে নিলেন নির্বাচকরা।
চলতি শেফিল্ড শিল্ডে তাসমানিয়ার হয়ে প্রথম ম্যাচে দুটি ফিফটি করেন ওয়েদেরল্ড, পরের ম্যাচে খেলেন ৯৪ রানের ইনিংস। সবশেষ রাউন্ডে অবশ্য আউট হন ০ ও ১২ রানে। তবে নির্বাচকদের নজর কাড়ার কাজ হয়ে গেছে আগেই।
ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের জোয়ার বইয়ে দেওয়া লাবুশেনও আছেন দলে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ফর্মহীনতা নিয়ে আলোচনা ছিল অনেক। তবে শেফিল্ড শিল্ডে ফিরে তিন ম্যাচে তিনি করেছেন দুটি সেঞ্চুরি, ঘরোয়া ওয়ানডে কাপে চার ম্যাচে করেছেন তিনটি সেঞ্চুরি। সেরা ছন্দ ফিরে পেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি খেলবেন হয়তো তিন নম্বরে।
ক্যামেরন গ্রিন ও বাউ ওয়েবস্টার, দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকেই রাখা হয়েছে স্কোয়াডে। একাদশে জায়গা পাবেন সম্ভবত একজন। জশ হেইজেলউড, মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড ও ন্যাথান লায়নের সঙ্গে বোলিং আক্রমণে থাকবেন সেই অলরাউন্ডার। শেফিল্ড শিল্ডে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও সুযোগ পাননি পেসার মাইকেল নিসার। বাড়তি পেসার হিসেবে স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন শন অ্যাবট ও ব্রেন্ডান ডগেট।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৯ ওয়ানডে ও ২৮ টেস্ট খেললেও টেস্ট খেলার সুযোগ এখনও পাননি অ্যাবট। স্কোয়াডে ছিলেন তিনি নানা সময়েই। ডগেটও আগে জায়গা পেয়েছিলেন স্কোয়াডে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নিও এখনও। শেফিল্ড শিল্ডে সবশেষ রাউন্ডে ৭ উইকেট নিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী পেসার। কোনো পেসার চোট-টোট না পেলে অবশ্য এবারও সুযোগ পাবেন না দুই পেসারের কেউ।
বিকল্প কিপার হিসেবে দলে আছেন জশ ইংলিস। প্রয়োজন পড়লে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি খেলতে পারেন একাদশে। চোটে ছিটকে পড়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বদলে নেতৃত্ব দেবেন অনুমিতভাবেই স্টিভেন স্মিথ। আগেও নানা সময়ে কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। কামিন্স অবশ্য দলের সঙ্গে থাকবেন পার্থে, চালিয়ে যাবেন তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
প্রথম টেস্টের অস্ট্রেলিয়া দল: স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেয়ারি, ব্রেন্ডান ডগেট, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেইজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, উসমান খাওয়াজা, মার্নাস লাবুশেন, ন্যাথান লায়ন, মিচেল স্টার্ক, জেইক ওয়েদেরাল্ড, বাউ ওয়েবস্টার।

