অ্যাশেজে আরেকটি পরাজয়ের মুখে ইংল্যান্ড

0
অ্যাশেজে আরেকটি পরাজয়ের মুখে ইংল্যান্ড

চলতি অ্যাশেজ সিরিজে কোনোভাবেই লড়াই করতে পারছে না ইংল্যান্ড। তবে প্রথম দুই টেস্টের তুলনা করলে কিছুটা উন্নতি অবশ্য হয়েছে তাদের। অ্যাডিলেডে প্রথমবারের মতো সিরিজের কোনো টেস্ট পাঁচ দিনে টেনে নিয়েছে সফরকারীরা।

অ্যাডিলেড ওভালে ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৭ রান। ৪৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ৪ উইকেট বাকি রেখে শেষ দিনে তাদের করতে হবে আরও ২২৮ রান। যা একরকম অসম্ভবই বলা যায়।

তবে চাইলে এই ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্সে কিছুটা হলেও তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারে ইংল্যান্ড। এর আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে দুই দিন ও চার দিনে হেরে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে এবার পঞ্চম দিনে খেলতে নামবে তারা। এই ম্যাচ জিতলে দুই টেস্ট হাতে রেখেই এবারের অ্যাশেজ সিরিজ ও ঐতিহাসিক ছাইদানি নিজেদের করে রাখবে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এই দিনে আরও ৪০ রান যোগ করেন আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ট্রাভিস হেড ও অ্যালেক্স কেয়ারি। 

১৬ চার ও ২ ছক্কায় ১৭০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন হেড। কেয়ারির ব্যাট থেকে আসে ৬ চারে ৭২ রান। শেষ দিকের ব্যাটাররা কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। তাই মাত্র ৩৮ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জশ টাং। আরেক পেসার ব্রাইডন কারস পান ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নামার আগে ৪৩৫ রানের অসাধ্য সাধনের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।

সেই অভিযানে দ্বিতীয় ওভারেই বেন ডাকেটের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। কিছুক্ষণ পর অলি পোপকেও ফেরান প্যাট কামিন্স। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন জ্যাক ক্রলি ও জো রুট। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৭৮ রানের জুটি।

তবে এই জুটিকে বেশি দূর যেতে দেননি কামিন্স। নতুন স্পেলে ফিরে ৩৯ রান করা রুটকে কট বিহাইন্ড করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। এরপর হ্যারি ব্রুককে নিয়ে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। ১০২ বলে ফিফটি করে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান ইংলিশ ওপেনার।

ঠিক তখনই নাথান লায়নের ৫ ওভারের জাদু। প্রথম ১০ ওভারে খরুচে বোলিংয়ে ৪৯ রান দেওয়া অভিজ্ঞ অফ স্পিনার পরের ৫ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ৩০ রান করা ব্রুক।

চমৎকার অফ স্পিনিং ডেলিভারিতে অফ স্টাম্প হারান ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। এরপর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ক্রলিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন লায়ন। চমৎকার ক্ষিপ্রতায় বেলস ফেলে ১৫১ বলে ৮৫ রান করা ব্যাটারের বিদায় নিশ্চিত করেন কেয়ারি। দিনের ৯.৩ ওভারে আর বিপদ ঘটতে দেননি জেমি স্মিথ ও উইল জ্যাকস। শেষ দিনে তাদের কাছ থেকে অলৌকিক কিছুর আশায়ই থাকবে ইংল্যান্ড। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here