অ্যাশেজের জন্য ‘নতুন অস্ত্র’ রপ্ত করছেন স্টুয়ার্ট ব্রড

0

আর মাস দুয়েক পরই বয়স হবে ৩৭। একজন পেস বোলারের এই বয়সে টেস্ট খেলে যাওয়াই বিস্ময়ের। স্টুয়ার্ট ব্রড সেখানে রপ্ত করছেন নতুন অস্ত্র। এবার অ্যাশেজের জন্য তিনি নিজেকে শান দিচ্ছেন নতুন করে। প্রতিপক্ষের সেরা দুই ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথকে বিপাকে ফেলতে ইংলিশ পেস বোলিং গ্রেট নিজের তূণে যোগ করেছেন নতুন ধরনের একটি আউট সুইঙ্গার। 

এবারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে এই আউট সুইঙ্গারের সফল প্রয়োগ এর মধ্যেই দেখিয়েছেন ব্রড। নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে দুই ম্যাচেই এই ডেলিভারিতে ভুগিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের। কাউন্টি দলের বোলিং কোচ কেভিন শাইনের সঙ্গে মিলে এটি নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এই ডেলিভারির জন্য বোলিং অ্যাকশনেও সামান্য পরিবর্তন এনেছেন টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সফলতম পেসার (৫৭৬ উইকেট)। 

তিনি বলেন, সত্যি বলতে, এটি সাজানো হয়েছে মার্নাস (লাবুশেন) ও (স্টিভ) স্মিথের জন্য। তাদের ব্যাটের বাইরের কানায় বল ছোঁয়ানোর চেষ্টা করার জন্য নতুন কিছু করার পথ খুঁজছিলাম আমি। সে কারণেই এটা বের করেছি। আমার স্টক ডেলিভারি সবসময়ই থাকবে ‘উবল’ সিম ডেলিভারি, যেটি অফ স্টাম্পে চট করে ঢুকে পড়বে। কারণ এটিই আমার সবচেয়ে বিপজ্জনক ডেলিভারি। তবে ওদের (লাবুশেন-স্মিথ) জন্য বল বাইরের দিকে সুইং করিয়ে ওদেরকে বাইরে টেনে আনাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাকশনের এই ছোট্ট পরিবর্তন মূলত তাই পরিকল্পিত ওদের দুজনের জন্যই। আজকে যেভাবে বল বাইরে সুইং করাতে পেরেছি, তা দেখাটা ছিল দারুণ। 

ব্রড যেমন অ্যাশেজে দারুণ সফল, তেমনি সফল স্মিথও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ টেস্টে ১১ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৪৪ রান তার ৫৯.৬৮ গড়ে। ইংল্যান্ডের সুইঙ্গিং কন্ডিশনেও তার ব্যাট সমান উজ্জ্বল। সেখানে ১৬ টেস্টে তার সেঞ্চুরি ৬টি, ব্যাটিং গড় ৫৯.৫৫। 

লাবুশেনের টেস্ট ক্যারিয়ার নতুন গতিই পেল ইংল্যান্ডে গত অ্যাশেজে। স্মিথের কনকাশন বদলি হিসেবে খেলতে নেমে এমন ছাপ রাখেন তিনি যে, আর তাকে দল থেকে বের করা যায়নি। বরং অল্প সময়ের মধ্যে তিনি হয়ে ওঠেন টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডে ৪ টেস্ট খেলে তার ব্যাটিং গড় ৫০.৪২।  এবারও অ্যাশেজে ইংলিশ বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা নিতে পারেন এই দুই অস্ট্রেলিয়ান। আগামী ১৬ জুন এজবাস্টন টেস্ট দিয়ে শুরু এবারের অ্যাশেজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here