নতুন ‘ঘৃণাত্মক অপরাধ আইন’ পাস করল অস্ট্রেলিয়া। এই আইনের অধীনে প্রকাশ্যে নাৎসি স্যালুট অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে ও এর জন্য বাধ্যতামূলক কারাদণ্ড হবে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের পর অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক হামলা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে নতুন এই আইন প্রণয়ন করা হলো।
বুধবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক নতুন সংশোধনী উত্থাপন করে বলেন, এটি ঘৃণার বশে করা অপরাধের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর আইন।
নতুন আইনে নাৎসি স্যালুটকে কম গুরুতর ঘৃণাত্মক অপরাধের শ্রেণিতে রাখা হলেও এর জন্য কমপক্ষে ১২ মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কেউ সন্ত্রাসবাদের দায়ে অভিযুক্ত হলে তাকে সর্বোচ্চ ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ইহুদি উপাসনালয়, বিভিন্ন ভবন ও ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্যদের গাড়ির ওপর হামলা বেড়েছে। এমনকি সিডনিতে বিস্ফোরকভর্তি একটি ক্যারাভান উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ইহুদি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্যই এগুলো পরিবহন করা হচ্ছিল বলে তদন্ত করে জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, যারা ইহুদি বিদ্বেষ ছড়াবে, তাদের আইনের আওতায় এনে অভিযুক্ত করা হবে এবং কারাগারে পাঠানো হবে। এর আগে বাধ্যতামূলক কারাদণ্ডের বিপক্ষে ছিলেন আলবানিজ। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তিনি আইনটির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
দেশটির সরকারের ঘৃণাত্মক অপরাধের বিলটি ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো সংসদে উত্থাপন করা হয়েছিল। ওই প্রস্তাবনায় জাতি, ধর্ম, জাতীয়তা, রাজনৈতিক মতামত, লিঙ্গ, যৌনতা, লিঙ্গ পরিচয় ও আন্তলিঙ্গ অবস্থা ইত্যাদির ভিত্তিতে কাউকে ভয় দেখানো বা সহিংসতার হুমকি দেওয়াকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে, ইউরোনিউজ, বিবিসি, দ্য ইনডিপেনডেন্ট