অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন মাইকেল বেভান। এতদিন টেস্টের সাদামাটা পরিসংখ্যানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেমে জায়গা পাচ্ছিলেন না তিনি। তবে নিয়মে পরিবর্তন আনার পর এই অভিজাত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ‘দ্য ফিনিশার’ নামে পরিচিত এই বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
সাদা বলের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরাদের একজন বেভান। ২৩২ ওয়ানডেতে ৫৩.৫৮ গড়ে তিনি করেছেন ৬ হাজার ৯১২ রান।
তার মধ্যে আছে ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ বলে চার মেরে এনে দেওয়া জয়। সেটা ওয়ানডে ক্রিকেটের আইকনিক মুহূর্তের একটা হয়ে আছে।
২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮২ রানে ৬ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে বেভান নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের বন্দরে। ৯৫ বলে খেলেছিলেন ১০২ রানের অনবদ্য ইনিংস। পরের বছর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৪ তার সেরা ইনিংসগুলোর একটি।
১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রাখা বেভান হল অব ফেমে জায়গা পেতে পারতেন গত ১৫ বছর ধরে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ১৮ ম্যাচের সাদামাটা পারফরম্যান্সের জন্য জায়গা হচ্ছিল না তার।
নিয়মে পরিবর্তন আনায় এবার সেটা সম্ভব হলো। কেন এই বদল আনা হলো, এর ব্যাখ্যা দিলেন হল অব ফেম কমিটির চেয়ারম্যান পিটার কিং।
তিনি বলেন, ‘মাইকেলের ব্যতিক্রমী রেকর্ড এবং তার পক্ষে মানুষের অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট হল অব ফেম কমিটিকে নিয়ম পর্যালোচনার দিকে নিয়ে গেছে। ওয়ানডে কিংবা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ খেলেছে, এমন ক্রিকেটারদেরও যেন টেস্ট ক্রিকেটে দ্যুতি ছড়ানো ক্রিকেটারদের মতই স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা। নি:সন্দেহে সাদা বলের ক্রিকেটে একটি বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন মাইকেল এবং অসাধারণ অ্যাথেলেটিসিজম, রান তাড়া করার সামর্থ্য এবং ব্যাটিংয়ে মুন্সিয়ানার জন্য পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।’
অস্ট্রেলিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস, তাসমানিয়া, সাউথ অস্ট্রেলিয়া, ইয়র্কশায়ার ও কেন্টের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন বেভান। ৬৮ সেঞ্চুরি ও ৮১ ফিফটিতে ৫৭.৩২ গড়ে করেছেন ১৯ হাজার ১৪৭ রান। এই সংস্করণে তার সর্বোচ্চ ২১৬।