গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অস্ট্রেলিয়ার লেখক ড. ইয়াং হেংজুনকে ‘সাময়িক স্থগিত’ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চীনের একটি আদালত। পাঁচ বছর আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, দুই বছর পর এই শাস্তিকে লঘু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হতে পারে। ড. ইয়াং একজন ঔপন্যাসিক। চীন সম্পর্কে তিনি ব্লগ লেখেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ড. ইয়াং। তবে কি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। তাকে শাস্তি দেওয়ার বেইজিংয়ের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
উল্লেখ্য, এর আগে চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন ড. ইয়াং। তার লেখালেখি সরকারের সরাসরি সমালোচনাকে মাঝেমধ্যেই এড়িয়ে গেছে। ২০১৯ সালে গুয়াংঝু বিমানবন্দরে আটক করা হয় ৫৭ বছর বয়সী এই লেখককে। অভিযোগ আনা হয় গুপ্তচরবৃত্তির। তারপর থেকে তার এই মামলা রুদ্ধদ্বার চলতে থাকে। ২০২১ সালে শুরু হয় সিক্রেট ট্রায়াল বা গোপন বিচার। এ নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তারা। কিন্তু চীনের ভিতরকার মামলায় তাদেরকে হস্তক্ষেপ না করার জন্য সতর্ক করে দেয় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আহ্বান জানানো হয়, চীনের বিচার বিভাগের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে।
ড. ইয়াংকে কমপক্ষে ৩০০ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার পরিবার বলছে, আটকের পর ছয় মাস ধরে তাকে তীব্র নির্যাতন করা হয়েছে। ড. ইয়াংকে খেয়ালখুশি মতো আটক করায় চীনের সমালোচনা করেছেন চীনে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত। সূত্র: বিবিসি