ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশন অষ্ট্রেলিয়া (DUAAA) সিডনির অলিম্পিক পার্কের টুইন শেড সেইলে বিজয় উৎসব ও বার্ষিক বনভোজন উদযাপন করেছে।
১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) দিনব্যাপী এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বনভোজনের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিজয় দিবসের উল্লাসে মেতে উঠে। শত ব্যস্ততার মাঝেও সিডনী, ক্যানবেরা, মেলবর্ন থেকে প্রাণের টানে প্রায় আড়াই শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থীর পরিবার পরিজন নিয়ে যোগ দেয় এই আনন্দ উৎসবে।
জাহিদ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রথমে সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশ ও আস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত এবং দেশাত্মবোধক গানে অংশ নেয় শুভ্রা, হিমেল, তামিমা, আজিজুন প্রমুখ। তবলায় ছিল সাকিনা। অ্যাকনলেজমেন্ট অব কান্ট্রি পাঠ করে ফারহান শফিক। দেশের গানের সাথে নাচ পরিবেশন করে নাবিলা। ছোট ছেলেমেয়েরা আকাশে বাংলাদেশের প্রতীক লাল সবুজ বেলুন উড়িয়ে বিজয়ের দিবসের আনন্দ প্রকাশ করে।
সংগঠনের সভাপতির কামরুল মান্নান আকাশ আগত এলামনাই ও অতিথিদের শুভেচ্ছা ও বিজয় দিবসের রক্তিম অভিবাদন জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহবান জানান। পরের পর্বে ছিল বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়েদের চকলেট দৌড়, বস্তা দৌড়, মেয়েদের চামচ ও ডিম নিয়ে ভারসাম্য দৌড়, ও ছেলেদের দড়ি লাফানো প্রতিযোগিতা। মহিলারা অংশগ্রহণ করেন পিলো পাসিং প্রতিযোগিতায়। পুরুষদের জন্য ছিল দড়ি টানাটানি ও কপালে টিপ পরানো প্রতিযোগিতা। খেলাধুলার এই পর্বটির পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন লিঙ্কন শফিকুল্লাহ, জাহিদ মাহমুদ ও বিশ্ব চক্রবর্তী।
খাইরুল চৌধুরির সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ, শখের গান, কবিতা ও কৌতুক ছিল সবার জন্য উম্মুক্ত। গানের আসর “সোনালী দিন” এ একক সঙ্গীত পরিবেশন করে শুভ্রা মুস্তারিন, হিমেল, তামিমা শাহরিন ও আজিজুন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল মুনির বিশ্বাস, নার্গিস, কান্তা ও সাকিনা।
র্যাফেল ড্র-র টিকেট বিক্রির মধ্য দিয়ে অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহের পাশাপাশি ছিল আকর্ষনীয় পুরস্কার।
পুরস্কার বিতরন পর্বে বিজয়ীদের ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এ্সোসিয়েশন অষ্ট্রেলিয়ার লোগো সম্বলিত ক্রেস্ট ও আকর্ষনীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সফল করতে সহ সভাপতি গোলাম মাওলা, কোষাধ্যক্ষ হালিমুসসান, সদস্য নার্গিস বানু, নুসরাত হুদা কান্তা, তানিয়া ফারজানা, সাকিনা আক্তার, আহসানুল হক হাদী, নুসরাত জাহান স্মৃতি, হায়াত ও সেলিম মমতাজ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এছাড়াও সাহায্য করেছে রুমকি, সাইফুল, হালিম, নাজমুল, ও আতিক প্রমুখ।