অভিনেতা পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগ আনলেন স্ত্রী

0
অভিনেতা পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগ আনলেন স্ত্রী

ভোজপুরী সিনেমার পাওয়ারস্টার খ্যাত পবন সিং ও তাঁর স্ত্রী জ্যোতি সিংয়ের দাম্পত্য কলহ চরম আকার ধারণ করেছে। বুধবার মুম্বাই এবং লখনউতে দু’জনই আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। ফলে তাঁদের ব্যক্তিগত বিবাদ এখন প্রকাশ্যে জনআলোচনার কেন্দ্রে। 

মুম্বাইয়ের সংবাদ সম্মেলনে পবনের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন জ্যোতি সিং। তিনি জানান, বিয়ের পর তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি হলো, পবন সিং বারবার তাকে গর্ভপাতের ওষুধ খেতে বাধ্য করেছেন।

জ্যোতি সিং বলেন, উনি আমাকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়াতেন। উনি প্রকাশ্যে বলেন, তার সন্তানের খুব আকাঙ্ক্ষা ছিল! কিন্তু যিনি সত্যিই সন্তান চান, তিনি কি তার স্ত্রীকে এমন ওষুধ দেন? নিউজ১৮-কে তিনি আরও বলেন, প্রতিবারই আমাকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। আগে অনেক কিছু বলিনি, কিন্তু পবন জি আজ আমাকে সব কথা বলতে বাধ্য করেছেন। যখন আমি আপত্তি জানাতাম, তখন আমার ওপর এমনভাবে অত্যাচার করা হতো যে এক রাতে আমি বাধ্য হয়ে ২৫টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিই।

সন্ধ্যার দিকে লখনউতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পবন সিং। তিনি স্ত্রীর সমস্ত অভিযোগকে ভ্রান্ত ও অতিরঞ্জিত বলে উড়িয়ে দেন।

পবন সিং বলেন, জ্যোতি সিং ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন যে তিনি লখনউতে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। আমি তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতাম এবং প্রশাসনকে আগেই জানিয়েছিলাম। আমার দুই ভাই হৃষিক এবং ধনঞ্জয়ের উপস্থিতিতে আমরা ফ্ল্যাটে দেখা করি। জ্যোতির সঙ্গে ছিলেন তার ভাই ও দিদি জুহি। আমি তাঁর সঙ্গে কেমন আচরণ করেছি, তা কেবল আমি, সে আর ঈশ্বর জানেন।

অভিনেতা আরও দাবি করেন, বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্যোতি তার বাড়ি ছাড়তে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, একই ছাদের নিচে থেকে কি মামলা লড়া সম্ভব? আমি কর্মীদের বললাম, সে যা খেতে চায়, তা তৈরি করতে। এরপর আমি একটি মিটিংয়ে চলে যাই এবং আমার ভাইকে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য রেখে আসি।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনার জবাবে পবন সিং বলেন, আমার কাছে জনসাধারণই ঈশ্বর। যারা আমাকে এই জায়গায় এনেছেন, আমি কখনও তাঁদের অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না। জ্যোতি সিং জি, আপনি যখন গতকাল আমার সোসাইটিতে এসেছিলেন, আমি আপনাকে সসম্মানে স্বাগত জানিয়েছিলাম। আমাদের প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয়েছিল। আপনার একমাত্র দাবি ছিল, আমি যেন আপনাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিই, যা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

পুলিশের উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি নিজে পুলিশ ডাকেননি। সবকিছু যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সেজন্য সকাল থেকেই পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের আগস্ট মাসেই জ্যোতি সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তিনি পবনের কাছ থেকে অবহেলা এবং যোগাযোগের অভাবের অভিযোগ আনেন। তিনি দাবি করেন, পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তিনি বহু মাস ধরে পবনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু কোনো উত্তর পাননি। ছট পূজার সময়ও তিনি লখনউ এবং দেহরিতে পবনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কিন্তু তিনি দেখা করতে অস্বীকার করেন।

আক্ষেপের সুরে জ্যোতি লেখেন, আমি কী এমন গুরুতর অপরাধ করেছি যে, আমাকে এমন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? যদি আমি আপনার যোগ্য না হই, তবে আপনি আমাকে ছেড়ে যেতে পারতেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় মিথ্যা আশা দেওয়ার কোনো দরকার ছিল না। আজ আপনি আমাকে আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোনো পথ দেননি কিন্তু আমি সেটাও করতে পারি না, কারণ সবসময় আমার এবং আমার বাবা-মায়ের দিকেই প্রশ্ন উঠবে।

সূত্র: এনডিটিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here