৩২ বছর বয়সী ডি কক গত বছর বার্বাডোজে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এর আগে ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। আর ২০২৩ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও বিদায় জানান।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ফর্মের তুঙ্গে থাকায় কুইন্ট ডি ককের আচমকা সরে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বারবার হতাশ করত ভক্তদের। তবে সম্প্রতি আবারও সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। এবার খোলাসা করলেন কেন তিনি নিয়েছিলেন অবসরের সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ শুকরি কনরাড বলেছিলেন, কুইন্টন ডি কক এক রহস্য, আর অবসর ভেঙে ফিরেছেনও রহস্য হয়েই। সত্যিই রহস্যে মোড়া এক ক্রিকেটারই যেন তিনি। নাহলে এমন দাপুটে প্রত্যাবর্তন বলে কয়ে কি সম্ভব! ডি কক রাজসিকভাবে ফিরে জানালেন, তিনি এখন আরও ক্ষুধার্ত।
তিনি বলেন, অবসরের আগে আমি দলের জন্য, বিশেষত প্রোটিয়াদের জন্য ম্যাচ জেতানোর ক্ষুধা হারিয়ে ফেলেছিলাম। সেই সময়টা (অবসরের) আমার ক্ষুধা ফিরিয়ে এনেছিল। সতীর্থদের বলছিলাম, আগে কখনও এত ক্ষুধা অনুভব করিনি। আমরা যখন তরুণ থাকি তখন শুধু রান করার জন্য আর অন্যদের মুগ্ধ করার জন্য খেলতে চাই। এমন দলের অংশ হওয়া যেখানে শুধু খেলা না, জেতার জন্য খেলা।
ডি ককের দাবি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তিনি উপভোগ করছিলেন না। এমনকি বিরক্ত হচ্ছিলেন, নিজেকে নিয়েও ছিলেন হতাশ। তাই আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নেন ওয়ানডে থেকে। টি-টোয়েন্টিতেও নিজেকে গুটিয়ে নেন।
সময়ের সাথে সাথে আমি এতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ খুঁজছিলাম, কিন্তু তা পাচ্ছিলাম না। এখন ফিরে এসে মনে হচ্ছে আমি আসলে এটা মিস করেছি। এখন আগের ভাবনার চাইতেও বেশি সময় খেলতে পারব।
দারুণ প্রত্যাবর্তনের পর ডি কক অবশ্য জানালেন, নিজেকে খুব বেশি পরিবর্তন করতে হয়নি। তবে বিরতির সময়টাতেই বুঝতে পারেন, আবারো ফেরা ভীষণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। আমি শুধু নিজেকে আরও ভালো অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি বিরক্ত হচ্ছিলাম, নিজের ওপর হতাশ ছিলাম। যেভাবে আউট হচ্ছিলাম খুবই অগোছালো ছিল।

