অপতথ্য তথা গুজব ছড়ানো বন্ধের লড়াইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঐচ্ছিক নিয়মাবলি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে টুইটার। ইইউর অভ্যন্তরীণ মার্কেট কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন এ খবর জানিয়েছেন।
টুইটারে তিনি লেখেন, দায়বদ্ধতা আছেই। আপনি সরে যেতে পারেন, তবে পালাতে পারবেন না। সতর্ক করে তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নতুন আইনে এ নিয়মাবলি পালনে বাধ্য থাকতে হবে।
ঐচ্ছিক এ নিয়মাবলির পাশাপাশি ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) নামক নতুন একটি আইন চালু করেছে ইইউ। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মাসে ৪৫ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী থাকা প্ল্যাটফর্মগুলোকে ডিএসএ-এর ধারাগুলো আইনগতভাবে মেনে চলতে হবে। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মের তালিকায় টুইটারও রয়েছে।
কয়েক ডজন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইইউর এই ডিজইনফরমেশন কোড মেনে চলার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছে। এ তালিকায় আছে ফেসবুক ও টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা, টিকটক, গুগল, মাইক্রোসফট, ও টুইচ। ভুয়া খবর ও ডিজইনফরমেশন ছড়িয়ে কেউ যেন মুনাফা অর্জন না করতে পারে, সে লক্ষ্যে গত বছরের জুনে ইইউ তাদের এ নিয়মাবলি চালু করেছিল।
যে-সব প্রতিষ্ঠান এসব নিয়মাবলি মেনে চলতে রাজি হয়েছে, তারা নিজেরাই ঠিক করতে পারবে কী ধরনের কাজ তারা করবেন। এসব কাজের মধ্যে হতে পারে ফ্যাক্ট-চেকারদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ বা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ওপর নজর রাখা।
ইলন মাস্ক টুইটারের নেতৃত্বে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মটিতে কনটেন্টের ওপর মডারেশন অনেকটাই কমে গেছে। এর ফলে ডিজইনফরমেশন বেড়ে গেছে বলে মনে করেন সমালোচকেরা।
এক সময় সংঘবদ্ধ ডিজইনফরমেশন ক্যাম্পেইন রোধে টুইটারের আলাদা একটি দল ছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞ ও টুইটারের কর্মীরা বলেছেন, এ বিশেষজ্ঞদলের বেশিরভাগ পদত্যাগ করেছেন বা ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন।