অনলাইন শপিং ও গেমিং–এ সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে: ক্যাসপারস্কি

0
অনলাইন শপিং ও গেমিং–এ সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে: ক্যাসপারস্কি

অনলাইনে কেনাকাটা ও গেমিং প্ল্যাটফর্মে সাইবার হামলার ঝুঁকি গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি।

প্রতিষ্ঠানটির ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইন স্টোর, ব্যাংক ও পেমেন্ট সিস্টেম সেজে পরিচালিত ৬৪ লাখের বেশি ফিশিং প্রচেষ্টা তারা ঠেকিয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকই ছিল অনলাইন ক্রেতাদের লক্ষ্য করে।

ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি নেটওয়ার্ক (কেওএসএন) জানায়, এ সময় অনলাইন স্টোর ও ব্যাংকের ছদ্মবেশে ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৪টি ফিশিং প্রচেষ্টা ব্লক করা হয়। এর মধ্যে ৪৮.২ শতাংশ অনলাইন শপিং–সংশ্লিষ্ট। অন্যদিকে গেমিং প্ল্যাটফর্মে সাইবার হামলার চেষ্টার সংখ্যা ছিল ২ কোটির বেশি। শুধু ডিসকর্ড ব্যবহার করেই শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখের বেশি হামলা।

ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে স্প্যাম ইমেইলও ব্যাপক বাড়ে। নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে ক্যাসপারস্কি শনাক্ত করে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৫টি স্প্যাম মেইল। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৭২টি এসেছে সিঙ্গেলস ডে–কে কেন্দ্র করে। এসব ইমেইলের বেশির ভাগই আগের বছরের নকল টেমপ্লেট ব্যবহার করে তৈরি করা এবং অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট, আলিবাবা–সহ নানা ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে পাঠানো।

স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মকেও টার্গেট করেছে সাইবার অপরাধীরা। ২০২৫ সালে নেটফ্লিক্স–সংশ্লিষ্ট ৮ লাখের বেশি এবং স্পটিফাই–সংশ্লিষ্ট ৫ লাখের বেশি ফিশিং প্রচেষ্টা ধরা পড়ে।

গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলো, যেমন স্টিম, প্লেস্টেশন ও এক্সবক্স, সমানভাবে লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। এসব প্ল্যাটফর্মে শনাক্ত ফিশিং প্রচেষ্টার সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। গেমিং সফটওয়্যারের ছদ্মবেশে ম্যালওয়ার ছড়ানোর ঘটনাও বেড়েছে। ক্যাসপারস্কি বছরজুড়ে তুলে ধরেছে ২ কোটি ১৮ হাজারের বেশি ম্যালওয়ার আক্রমণ। এর মধ্যে ডিসকর্ড থেকেই শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ৫৬ হাজার ম্যালওয়ার প্রচেষ্টা—যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৪ গুণ বেশি।

ক্যাসপারস্কির সিনিয়র ওয়েব কনটেন্ট অ্যানালিস্ট ওলগা অলতুখোভা বলেন, সাইবার অপরাধীরা এখন পুরো ডিজিটাল দুনিয়াতেই সক্রিয়। তারা অনলাইন শপিং, গেমিং, স্ট্রিমিং থেকে শুরু করে যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত ব্যবহারকারীর আচরণ লক্ষ্য করে কৌশল বদলায়। তাই অনলাইনে কেনাকাটাসহ যেকোনো ডিজিটাল ব্যবহারেই নিয়মিত সতর্ক থাকা এখন আরও জরুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here