শহরের বাজারে এখন গুড়ের চাহিদা তুঙ্গে। পৌষ মাসে খেজুরের গুড়ের উৎসব থাকলেও, তাপমাত্রা কিছুটা কমলেই সকলে অনেকেই গুড় কিনতে শুরু করেন। অনলাইনে কিংবা পাড়ার দোকানে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরণের গুড়, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, গুড়টি আসল কি নকল?
গুড় কেবল মিষ্টি স্বাদের জন্য নয়, এটি পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। খেজুরের রস থেকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়ায় এতে থাকে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন। আয়ুর্বেদেও গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা উল্লেখ আছে। তবে, যদি গুড়ের সঙ্গে ভেজাল মেশানো থাকে, তা হলে পুষ্টি নষ্ট হয় এবং শুধু রক্তে চিনি বাড়ায়।
গুড় আসল কিনা ঘরোয়া উপায়ে যাচাই করবেন যেভাবে
১. পানিতে মিশিয়ে পরীক্ষা: এক গ্লাস পরিষ্কার পানিতে একটি গুড়ের টুকরো ফেলুন। আসল গুড় সঙ্গে সঙ্গে মিশবে না; কিন্তু ভেজাল থাকলে জলের ওপর সাদা স্তর তৈরি হবে।
২. ভিনিগারের টেস্ট: সামান্য ভিনিগারের সঙ্গে গুড় মেশান। ফেনা উঠলে বোঝা যাবে যে গুড়ে ভেজাল রয়েছে।
৩. রং ও টেক্সচার: ভালো মানের গুড় সাধারণত হালকা কালচে সোনালি রঙের এবং হাতে নিলে চটচটে, মসৃণ হয়। ভেজাল মেশানো গুড় সাদাটে এবং মসৃণতা কম থাকে।
শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য গুড়ের আসলতা যাচাই করা এখন প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনলাইনে কিংবা বাজার থেকে গুড় কেনার আগে এই সাধারণ পরীক্ষাগুলো ব্যবহার করলে নিশ্চিন্তে খাওয়া সম্ভব।

