খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাধারণত লবণ ব্যবহার হয়। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। লবণের প্রধান উপাদান সোডিয়াম, যা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার, হাড়ক্ষয়ের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, পূর্ণ বয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ২০০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম বা ৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিত।
তবে অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ সোডিয়াম গ্রহণ করে থাকে। যার ফলে প্রায় ১৮ লাখ ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য অতিরিক্ত সোডিয়াম দায়ী।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ১৪ বছর বয়সের উপরে ও গর্ভবতী নারীদের জন্য দৈনিক সোডিয়ামের পরিমাণ ১৫০০ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
চলুন জেনে নিই অতিরিক্ত লবণ যেসব ক্ষতি করে-
রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে
যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা লবণ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। এর কারণ হল, সোডিয়াম-জাতীয় খাবার রক্তের চাপ বাড়ায়। ফলে ধনীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত হয়। সেইসঙ্গে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যার ঝুঁকি। যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই তারাও অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে
বেশি লবণ খেলে কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কিডনি ভালো না থাকলে তার প্রভাব পড়বে পুরো শরীরেই। তাই সময় থাকতে সতর্ক হোন।
পানির পিপাসা বাড়ায়
অতিরিক্ত লবণ-জাতীয় খাবার খাওয়া মুখ শুষ্ক করে ফেলে। তাই তেষ্টা বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হল, দেহ সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে পানির ঘাটতি অনুভব করে। শুধু নোনতা খাবার খাওয়াই না বরং লবণ ও গরম পানি দিয়ে ‘গারগল’ করা হলেও কয়েক মিনিট পরে মুখে শুষ্ক অনুভব হয়।
এজন্য লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি, যাতে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো যায়।