মদ্পানের অভিযোগে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান বেন ডাকেটের একটি ভিডিও নিয়ে যাচাই-বাছাই শুরু করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি প্রকাশের পর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্তের আওতায় আনা হয়।
ইসিবি জানায়, ভাইরাল ভিডিওটিতে নুসায় দলের নির্ধারিত বিরতির সময় বেন ডাকেটকে মদ্যপ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এবং তিনি দলের হোটেলে ফেরার পথে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। এই বিরতিটি ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় অ্যাশেজ টেস্টের মধ্যবর্তী সময়ে।
ইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব আগেই নিশ্চিত করেছিলেন, নুসা সফরসংক্রান্ত বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে সতেজ রাখতে হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের উদ্যোগে এক বছর আগেই এই চারদিনের বিরতির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ সময় কোনো ধরনের অনুশীলন সূচি নির্ধারিত ছিল না।
তৃতীয় টেস্টে তুলনামূলক ভালো লড়াই করলেও অ্যাডিলেডে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। ফলে মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে অ্যাশেজ সিরিজ ধরে রাখার নিশ্চয়তা পায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
রব কি বলেন,‘অনেক সময় শিরোনাম বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে। একে “স্ট্যাগ ডু” বলা হচ্ছে, যা পুরোপুরি সঠিক নাও হতে পারে। তবে যদি সত্যিই কয়েকদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা প্রকৃত তথ্য যাচাই করব।’
তিনি আরও জানান, অ্যাশেজ সফরের সূচি নির্ধারণের সময়ই নুসা বিরতির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় টেস্টে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও সেই বিরতি বাতিল করা হয়নি। পুরো স্কোয়াড সেখানে উপস্থিত থাকলেও তিনি নিজে কুইন্সল্যান্ডের অন্য একটি এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
রব কি বলেন, ‘দুপুরের খাবারের সময় কয়েকজন খেলোয়াড় একসঙ্গে বসে থাকা বা দু-একজনের পান করা এক বিষয়। কিন্তু যদি সেটি সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমি কোনোভাবেই মদ্যপানের সংস্কৃতিকে সমর্থন করি না।’
উল্লেখ্য, এর আগে নিউজিল্যান্ড সফরেও ইংল্যান্ড দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। সীমিত ওভারের সিরিজ চলাকালে হ্যারি ব্রুক ও জ্যাকব বেথেলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ম্যাচের আগের রাতে তাদের মদ্যপান করতে দেখা যায়। যদিও সে ঘটনায় কোনো আনুষ্ঠানিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

