অডিও বার্তায় বিদ্রোহের বিস্তারিত তথ্য জানালেন প্রিগোজিন

0

ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সোমবার নতুন অডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। এই বার্তায় তিনি বলেছেন, মস্কো অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ফিরে আসার পেছনে দুইটা কারণ কাজ করেছে। একটি হলো- ‘রক্তপাত এড়ানো’ আর দ্বিতীয়টি হলো তিনি ‘প্রতিবাদ করেছেন, মস্কোর নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুতি তার লক্ষ্য ছিল না।’

শনিবার রাতে ‘রক্তপাত এড়াতে সেনাদের ফিরিয়ে নিচ্ছেন’ বার্তা দেওয়ার পর প্রিগোজিনের এটা প্রথম বার্তা। তবে এই মুহূর্তে তিনি ঠিক কোথায় আছেন সেটা জানা যায়নি। তার বেলারুশে থাকার কথা। 

প্রিগোজিন বলেন, তার একজন সেনাও ওই সময় নিহত হয়নি। একটি যুদ্ধবিমানে গুলি চালাতে বাধ্য হন তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই যুদ্ধবিমান তাদের ওপর বোমা ফেলেছিল, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।

শুক্রবার রাতে রুশ সেনাবাহিনীর হামলায় তার কমপক্ষে ৩০ জন সেনা নিহত হয় উল্লেখ করে ওয়াগনার প্রধান বলেন, ‘৩০ জুন তাদের অবস্থান ত্যাগ করে দক্ষিণ কমান্ডের কাছে অস্ত্র সমর্পণের কথা ছিল। তার কয়েকদিন আগেই রুশ সেনাবাহিনী তার যোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ করে।’   

প্রিগ্রোজিন বলেন, তাদের বিদ্রোহ মিছিল তখন থামে যখন, তার একটি দল ওই এলাকার প্রাথমিক নিরীক্ষণ সেরে নিয়েছিল। এটা নিশ্চিত যে ওই সময় অনেক রক্তপাত হতে পারতো। আমরা অনুধাবন করেছিলাম, আমরা যা করতে যাচ্ছি সেটা যথেষ্ট। ঠিক ওই মুহূর্তে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো তার হাত বাড়িয়ে দেন। আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে ওয়াগনার যোদ্ধারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবে সেই উপায় বের করার প্রস্তাব দেন তিনি।

গত শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্ব উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন ওয়াগনার যোদ্ধারা। শনিবার দিনভর একের পর এক রুশ শহর দখল করতে করতে রাজধানীর দিকে এগিয়ে যান তারা। দিনভর উত্তেজনার পর শনিবার রাতে মস্কোর দিকে যাত্রা বন্ধ করে ওয়াগনার যোদ্ধাদের নিজ ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রিগোজিন। একই সঙ্গে বেলারুশে ‘নির্বাসনে’ যেতে রাজি হন তিনি। সূত্র: সিএনএন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here