ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ২০১৮ সালে ঘটে যাওয়া শিশু হাসিবুল ইসলাম (১৪) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার ৭ বছর পর, গত শনিবার রাতে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বার্মা কলোনী থেকে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি মো. হৃদয় (২৮) কে গ্রেফতার করে।
নিহত হাসিবুল ইসলামের পিতা মো. মোবারক হোসেন ও মাতা আলেয়া বেগমের সঙ্গে ডি.এন.এ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়, ধানি জমিতে পাওয়া অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশই হাসিবুলের। নিহত হাসিবুল কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের ছেলে। গ্রেফতার হৃদয় কসবা উপজেলার নিমবাড়ির (মধ্যপাড়া) মুজিবুর মিয়ার ছেলে।
পিবিআই-এর তদন্তে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি শিশু হাসিবুল তার পিতার অটোরিকসা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় এবং পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। হারানোর পরদিন তার পিতা কসবা থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি আখাউড়া উপজেলার নোয়াপাড়া বিলের ধানি জমি থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই জানায়, হৃদয় ও তার ৩–৪ সহযোগী হাসিবুলের অটোরিকসা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে ধানি জমিতে নিয়ে যান। সেখানে তার হাত-পা বেঁধে হৃদয় হাসিবুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং লাশ ধানি জমিতে ফেলে অটোরিকসা নিয়ে চলে যান।
গ্রেফতারের সময় পুলিশের উপর আসামির অতর্কিত হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
পিবিআই ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপর আসািেদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

