অটোচালক হত্যার সাড়ে ৩ মাস পর রহস্য উদঘাটন

0

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে এক অটোচালককে অজ্ঞান করে হত্যা ও অটো ছিনতাইয়ের সাড়ে তিন মাস পর মূল আসামি বিল্লাল হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে সদরপুর উপজেলার আটরশি দরবার শরীফের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আটক বিল্লাল হোসেনের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর  উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর ফরাজীকান্দি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত বিন্নত আলী মোল্লার ছেলে।

এতে বলা হয়, গত ২৬ জুন ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া বাজার থেকে সদরপুরের আটরশি পর্যন্ত  আটক বিল্লাল যাত্রী সেজে সাদ্দাম শেখ নামে এক অটোচালকের অটো ভাড়া করে। অটোচালক সাদ্দাম পাশের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ডাঙ্গী নগরকান্দা গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে। প্রতারক বিল্লাল ও তার সহযোগী আটরশি বাজারে নেমে অটোচালককে আবার যাবে বলে রেখে দেয়।

কিছুক্ষণ পর তারা তিনটি জুস ক্রয় করে। এর মধ্যে দুটি জুস নিজেরা রেখে দেয়। অন্য জুসটির ভেতরে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে কৌশলে অটোচালককে খেতে দেয়। অটোচালক সরল বিশ্বাসে জুসটি খাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে বিল্লাল ও তার সহযোগী অটোচালক সাদ্দামকে নিয়ে সদরপুরের আটরশি থেকে ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মৌলভীরকান্দি নামক জায়গায় অটোচালক সাদ্দামের অচেতন দেহ ফেলে   তারা অটো ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ হাসপাতালে নেয়। ওইদিন রাত সাড়ে আটটায় অটোচালক সাদ্দাম মারা যায়। এর তিনদিন পরে অটোচালক সাদ্দামের ভাই সম্রাট শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। ভাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত ) প্রদ্যুৎ সরকার তথ্য-প্রযুক্তি এবং সোর্সের মাধ্যমে আসামিদের ধরার চেষ্টা করেন। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মূল আসামি বিল্লাল হোসেনকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি দরবার শরীফের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আসামিদের ধরার চেষ্টা করেছি। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় অটো ছিনতাই ও চালক হত্যার মূল হোতাকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার বিল্লাল ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি জানান, গত ২৬ জুন বিল্লাল এবং তার সহযোগী অটোচালক সাদ্দাম শেখকে ভাঙ্গার পুকুরিয়া থেকে ২০০ টাকা ভাড়ায় সদরপুরের আটরশি নিয়ে যান। সেখানে কৌশলে জুসের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। অটোচালক অজ্ঞান হলে তাকে আটরশি থেকে মালিগ্রাম যাওয়ার পথে মৌলভীরকান্দী নামক স্থানে ফেলে রেখে তার অটো ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। পরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম বাজারে পৌঁছে তারা দেলোয়ার নামক এক ব্যক্তির কাছে ৫০ হাজার টাকায় অটোটি বিক্রি করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here