অজ্ঞাত রোগী বেড়েছে ফেনী সদর হাসপাতাল

0

১৮ লক্ষ মানুষের জনপদের একমাত্র সরকারি চিকিৎসালায় ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই হাসপাতালে নতুনরূপে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত অজ্ঞাত রোগী। 

হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, গত কয়েক মাসে অন্তত প্রায় অর্ধশতাধিক অজ্ঞাত রোগী চিকিৎসা নিতে আসে সদর হাসপাতালে। এর মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, মহিলা ১১ জন, যুবক ৩ জন এবং ৩ কিশোরীও রয়েছে। 

এছাড়া প্রতিনিয়তই এক থেকে তিনজন পর্যন্ত অজ্ঞাত রোগী ভর্তি থাকে ফেনী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বহির্বিভাগে।

হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা ও কিছু ওষুধ মিললেও অনেকেই থাকে সুবিধাবঞ্চিত। তবে হাসপাতালে এইসব অজ্ঞাত রোগীর চিকিৎসা বেশিরভাগ হয়ে থাকে সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর তত্ত্বাবধানে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের বাহিরে একজন এবং তৃতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডের মেঝেতে একজন অজ্ঞাত রোগী শুয়ে আছে। এদের চিকিৎসা সেবা দেয়া কষ্টসাধ্য বলে মনে করছে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং কর্মীরা।

হাসপাতালের কর্মী সুমিতা রানী বলেন, প্রতিনিয়ত অজ্ঞাত রোগী বাড়ছে এর ফলে চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে, অপরদিকে একটি ওয়ার্ডে ২৬ টি সিট থাকলেও রোগী ভর্তি রয়েছে ৯১ জন, সব মিলিয়ে তাদেরও বাড়তি চাপ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান এই কর্মী।

এদিকে এক রোগীর স্বজন বলেন, এসব অজ্ঞাত রোগীরদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা প্রয়োজন। নতুবা অন্যদের স্বাস্থ্য সেবা নেওয়াটাও কষ্টসাধ্য হবে।
জেলার একটি সামাজিক সংগঠনের মানবাধিকার কর্মী হারুন অর রশিদ বলেন, প্রতিনিয়ত ফেনী ছাড়াও দূর দরান্ত থেকে অনেক রোগী হাসপাতালে এসে থাকে। এর মধ্যে বেশিরভাগকে রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়। সংগঠনের সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়েও আমরা অনেক সময় এইসব রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। তবে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে জানান তিনি। 

গণমাধ্যমকর্মী তানজিদ শুভ জানায়, ফেনীতে অজ্ঞাত রোগীর চাপ বেড়েছে বিষয়টি সত্যি। পরিচয় জানার জন্য আমরা একাধিকবার সংবাদও প্রকাশ করেছি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞাত রোগীদের স্বজনের সন্ধান পাওয়া যায় না। এমন রোগীদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ সেল চালু করলে এদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হবে বলে জানান তিনি।

সার্বিক বিষয় নিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালের আর. এম. ও আসিফ ইকবাল বলেন, এসব অজ্ঞাত রোগীদের আগে কয়েকটি সংগঠন নিজ দ্বায়িত্বে সেবার ব্যবস্থা করতো, আমাদের হাসপাতালের কর্মীরাও চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করে। তবে সরকার যদি এর জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা করে তাহলে এরা সঠিক সেবা পেতে পারবে। এ বিষয়ে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সাথে কথা বলেও কোনো আশ্বাস পাইনি বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here