ক্যামেরন গ্রিন চোটে পড়ার পর সবশেষ ভারত সফরে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব প্রবলভাবে অনুভব করেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড সফরে আর সেই ঘাটতি থাকছে না, গ্রিন এখন পুরোপুরি ফিট। তার পরও বিকল্প একজন দলে রাখছে তারা। সাদা পোশাকে ফেরানো হয়েছে মিচেল মার্শকে। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন মার্কাস হ্যারিসও। তবে কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখার পর এই ওপেনারের দলে ফেরা অনেকটা অনুমিতই ছিল।
জুনে ভারতের বিপক্ষে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও ঠিক পরেই অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টের জন্য ১৭ সদস্যের এই দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দল অবশ্য পরে নামিয়ে আনা হবে ১৫ জনে। দলে জায়গা পাওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরেকটি নাম ম্যাট রেনশ। শেফিল্ড শিল্ডে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও ফিরতে পারেননি ক্যামেরন ব্যানক্রফট। দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে টিকে গেছেন ভারতে অভিষেক সিরিজে নিজেকে মেলে ধরা টড মার্ফি।
হ্যারিস সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২১-২২ অ্যাশেজে। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে ৩০ বছর বয়সী এই বাঁহাতির কার্যকারিতার কথা ভেবে তাকে দলে রাখার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। শুরুতে তিনিও মূলত থাকবেন বিকল্প ওপেনার হিসেবে। ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা থাকবেন উদ্বোধনী জুটিতে।
রেনশ বোর্ডর চুক্তিতে জায়গা না পেলেও প্রায় ৫ বছর পর টেস্ট দলে ফেরেন কিছুদিন আগে। এরপর ৪ ইনিংস খেলে তিনি রান করেন মোট ৯। তবে এই মাসেই অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে নিউ জিল্যান্ড সফরে পিঠেপিঠি সেঞ্চুরি উপহার দেন তিনি। এই পারফরম্যান্সেই তিনি মূলত এগিয়ে গেছেন শেফিল্ড শিল্ডে সর্বোচ্চ রান করা ব্যানক্রফটের থেকে। টড অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার, সব জায়গায় খেলতে পারাও এগিয়ে রেখেছে রেনশকে।
সবশেষ ভারত সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম ও তিন স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার, ম্যাথু কুনেমান ও মিচেল সোয়েপসন। মূল স্পিনার ন্যাথান লায়নের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন মার্ফি। ২২ বছর বয়সী অফ স্পিনার গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে অভিষেকই নেন ৭ উইকেট।
পেস বোলিংয়ে চোটের কারণে জায়গা পাননি এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম বোলার বলে বিবেচিত ল্যান্স মরিস। ইংলিশ কন্ডিশনের উপযোগী বলে বিবেচনা করা হয় যার বোলিংকে, সেই মাইকেল নিসারকেও রাখা হয়নি দলে। চোটের কারণে বিবেচিত হননি জাই রিচার্ডসন। মূল তিন পেসার প্যাট কামিন্স, জশ হেইজেলউড ও মিচেল স্টার্কের সঙ্গে অতিরিক্ত পেসার রাখা হয়েছে কেবল স্কট বোল্যান্ডকে। ভারতের বিপক্ষে ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু ৭ জুন। এজবাস্টন টেস্ট দিয়ে অ্যাশেজ শুরু ১৬ জুন।
অস্ট্রেলিয়া দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেয়ারি, ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস হ্যারিস, জশ হেইজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিশ, উসমান খাওয়াজা, মার্নাস লাবুশেন, ন্যাথান লায়ন, মিচেল মার্শ, টড মার্ফি, ম্যাট রেনশ, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, ডেভিড ওয়ার্নার।