যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিষয়ক ‘অকাস চুক্তি’তে নিউজিল্যান্ডকেও নিতে চায় আমেরিকা।
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেছেন, ওয়েলিংটনের জন্যও অকাসের দরজা খোলা আছে। অন্যরাও চাইলে এতে সামিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের প্রতিক্রিয়া
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হপকিনস বুধবার বলেছেন, “অকাস নিয়ে আমরা আলোচনার দরজা খুলে রেখেছি।”
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, “নিউজিল্যান্ড পরমাণু-মুক্ত বিশ্ব চায়। আমরা আমাদের এই অবস্থান বদলাব না। আমরা পরমাণু সাবমেরিন-মুক্ত প্রশান্ত মহাসাগর চাই।”
অকাস চুক্তি কী?
অকাস হলো ২০৩০-এর শেষে বা ২০৪০-এর গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন উচ্চপ্রযুক্তির সাবমেরিন তৈরি ও মোতায়েনের পরিকল্পনা। এই উন্নত প্রযুক্তি দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
এই চুক্তি অনুসারে ব্রিটিশ ও আমেরিকার সাবমেরিন অস্ট্রেলিয়ায় মোতায়েন করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডই হলো আমেরিকার প্রধান বন্ধু দেশ।
কিন্তু অকাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। তারা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চীনের উপর খুব বেশি করে নির্ভরশীল। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং সফর করেছেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।
চীন মনে করে অকাস হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভারসাম্য ব্যাহত করতে। অর্থাৎ, অকাসের লক্ষ্য হলো চীনের প্রভাব খর্ব করা। সেখানে নিউজিল্যান্ড যোগ দিলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। সূত্র: রয়টার্স