১২টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনছে যুক্তরাজ্য

0
১২টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনছে যুক্তরাজ্য

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ১২টি মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনবে। এই বিমান ন্যাটোর যৌথ এয়ারবর্ন পারমাণবিক মিশনে যোগ দেবে। যা তাদের পারমাণবিক বহরের একটি বড় সম্প্রসারণ।

ব্রিটিশ সরকার এটিকে এক প্রজন্মের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক অবস্থানের সবচেয়ে বড় শক্তিশালীকরণ বলে অভিহিত করেছে।

নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের সময় স্টারমার এই ঘোষণা দেন। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এটিকে ন্যাটোকে আরও একটি শক্তিশালী ব্রিটিশ অবদান বলে অভিহিত করেছেন।

স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর ১৯৯০-এর দশকে যুক্তরাজ্য পর্যায়ক্রমে আকাশ থেকে নিক্ষেপিত পারমাণবিক অস্ত্র বন্ধ করে দেয়। এর পারমাণবিক অস্ত্রাগারে এখন সাবমেরিন-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

মাত্র তিনটি ন্যাটো সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স পারমাণবিক শক্তিধর। যেখানে সাতটি দেশ জোটের পারমাণবিক মিশনে অবদান রাখে এমন জেট প্রেরণ করে যা প্রচলিত বা অস্ত্র বহন করতে পারে অথবা ইউরোপে মজুদ করা আমেরিকান বি-৬১ বোমাও বহন করতে পারে।

মিশনের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য জোটের পারমাণবিক পরিকল্পনা গোষ্ঠীর পাশাপাশি মার্কিন রাষ্ট্রপতি এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

স্টারমার আরও ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে ৩৫০টি বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে। যার অর্থায়ন করা হবে জব্দ করা রাশিয়ান সম্পদের সুদ থেকে সংগৃহীত ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মিলিয়ন দিয়ে। 

যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ন্যাটো সদস্যরা ২০৩৫ সালের মধ্যে নিরাপত্তা খাতে ব্যয় মোট দেশজ উৎপাদনের ৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এই ঘোষণাগুলি এসেছে। মোট ব্যয়ের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ৩.৫ শতাংশ এবং বৃহত্তর নিরাপত্তা ও স্থিতিস্থাপকতা প্রচেষ্টায় আরও ১.৫ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যুক্তরাজ্য বর্তমানে জাতীয় আয়ের ২.৩ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে এবং বলেছে যে ২০২৭ সালের মধ্যে তা ২.৬ শতাংশে উন্নীত হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here