বর্ষায় পায়ের যত্ন কেমন হবে গাইডলাইন

0
বর্ষায় পায়ের যত্ন কেমন হবে গাইডলাইন

প্রচণ্ড গরমের পর এক পশলা বৃষ্টিও যেন মনের আরাম, প্রাণের স্বস্তি। তবে সমস্যা হলো- রাস্তার কাদা-পানি। মানে পায়ের সর্বনাশ অবস্থা। উপরি পাওনা ফাংগাল ইনফেকশন ও র‌্যাশ। সঙ্গে পা ফাটা, রু ত্বকের সমস্যা তো আছেই। বর্ষায় কাদা-মাটি তো থাকবেই। তাই বলে তো আর সারা দিন বাড়িতে বসে থাকবেন না। অতএব বর্ষায় চাই পায়ের বিশেষ যত্ন।

গোসল ও পায়ের যত্ন

গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করুন। ত্বক নরম থাকবে। তিলের তেল হলে ভালো হয়। তিলের তেল না থাকলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে যে তেলই ব্যবহার করুন না কেন, ম্যাসাজের আগে গরম করে নেবেন।

পায়ের যত্নের জন্য

বেসনের সঙ্গে অল্প দই, মধু, হলুদ বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। কয়েক মিনিট পর- ভিজে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি ক্লিনজার হিসেবে দারুণ। হলুদে আছে অ্যান্টি-সেপটিক উপাদান। তাই ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কমবে, মধু ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে। পায়ের ত্বক কোমল হবে। গোসলের সময় পা, বিশেষ করে গোড়ালি লুফা বা পিউমিস স্টোন দিয়ে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করবেন। কারণ, বর্ষাকালে পায়ের এই অংশ রাস্তায় জমা পানি বা কাদার সংস্পর্শে আসে। তাই সবচেয়ে বেশি নোংরা হয়।

গোসলের পরে

গোসলের পর পায়ে ভালো করে ফুট ক্রিম ম্যাসাজ করুন। ইচ্ছা হলে লেমন-টারমারিক ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। লেবু ও হলুদের নির্যাসযুক্ত এই ক্রিম শুধু পায়ের ত্বকই নরম করবে না, সঙ্গে ফাংগাল ইনফেকশন বা র‌্যাশ থেকেও পায়ের ত্বককে রক্ষা করবে। ত্বক ভিজে থাকতে থাকতেই ক্রিম লাগান। ত্বকের ময়েশ্চার ব্যালেন্স বজায় থাকবে। রুক্ষ ভাব দূর হবে। ত্বক নরম ও কোমল হবে।

নাইট কেয়ার

রাতে শুতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে পায়ে জমে থাকা ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ ফুট লোশন বা ভালো ময়েশ্চারাইজার ক্রিম দিয়ে পা ও গোড়ালি কিছুক্ষণ হালকা ম্যাসাজ করুন। ত্বক নরম হবে। পা ফাটার সমস্যা থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন।

লেখা : উম্মে হানি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here