বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মদিনে কাঁঠালপাড়ায় প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী

0
বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মদিনে কাঁঠালপাড়ায় প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী

সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৭তম জন্মদিনে নৈহাটির কাঁঠালপাড়ার বাড়ি হয়ে উঠল তারকাদের মিলনমেলা। দর্শকদের নজরে কেন্দ্র ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের ওপর।

এই বছর দুর্গাপুজায় মুক্তি পেতে চলেছে বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘দেবী চৌধুরাণী’। সেই ছবির কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে রয়েছেন প্রসেনজিৎ (ভবানী পাঠক) ও শ্রাবন্তী (দেবী চৌধুরাণী)। ছবির প্রচার শুরু হল সাহিত্যিকের জন্মদিনেই, তাঁর বাড়িতে উপস্থিত থেকে আশীর্বাদ নিয়ে।

লাল পাড় সাদা শাড়িতে, কানে সোনার দুল আর খোঁপায় জুঁই ফুলের মালা পরে শ্রাবন্তী পৌঁছে যান দেবী চৌধুরাণীর বেশে। সঙ্গে ছিলেন খাদির সাদা-পাঞ্জাবিতে দৃপ্ত প্রসেনজিৎ, তাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁকে ঘিরে তৈরি হয় জমাটি ভিড়।

প্রসেনজিৎ জানান, ‘এই ছবিতে আমি হিরো নই। ভবানী পাঠক এমন এক চরিত্র, যার হাত ধরে নারীশক্তির উত্থান ঘটে। তাই এই ছবিকে আমি বিশেষভাবে অনুভব করি। পূজায় মুক্তি পাচ্ছে, আর এই বছরটা আমি বঙ্কিমচন্দ্রকে উৎসর্গ করলাম।’ 

ছবির জন্য তরোয়াল চালানো থেকে ঘোড়ায় চড়া, শরীরচর্চা ও অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য কড়া প্রশিক্ষণ নিয়েছেন শ্রাবন্তী। তিনি বললেন, ‘আমার দাদু ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী, বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীতে। তাই লড়াকু মানসিকতা আমার রক্তেই আছে। আমি এমন চরিত্রই চাইছিলাম, যেখানে নারীশক্তির দৃপ্ত রূপ তুলে ধরা যাবে।’

শ্রাবন্তী আরও বলেন, ‘বুম্বাদার সঙ্গে কাজ মানেই ভরসা। প্রথম ছবিতে উনি আমার বাবার চরিত্রে, পরেরটায় প্রেমিক, আর এবার অভিভাবক ও প্রশিক্ষক।’ প্রসেনজিৎও জানান, ‘শ্রাবন্তী ছোটবেলা থেকেই আমার সঙ্গে কাজ করছে। এই ছবিতে সে যেন আমার কন্যা।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here