কক্সবাজারের মানুষ না চাইতেই পেয়ে গেছেন কয়েক লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। তারপরেও মানুষের চাহিদার যেন শেষ নেই। আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার আগমন নিয়ে মোতাহেরা হক মিতু নামে জেলা শহরের একজন গৃহবধূ নিজ ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন ‘সকলেই আওয়াজ তুলুন, কক্সবাজারে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই। গরিবের ছেলে-মেয়েরা চট্টগ্রাম গিয়ে পড়তে পারে না।
বিজ্ঞাপন
’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে এ ধরনের আকুতি এখন ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
সেই সাথে দাবি উঠেছে কক্সবাজার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সাথে ৫০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণেরও। কক্সবাজারে বর্তমানে আড়াই শ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র জেলা সদর হাসপাতালটির ওপর রোগীর চাপ বেশি। জেলার ২৫ লক্ষাধিক বাসিন্দার সাথে যোগ হয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার চিকিৎসা সেবাও। সেই সাথে পর্যটন শহরের কারণেও হাসপাপাতালটির ওপর চাপ পড়ছে প্রতিনিয়িত। তাই অবিলম্বে কক্সবাজার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সাথে ৫০০ শয্যার অত্যাধুনিক হাসপাতালটি জরুরি হয়ে পড়েছে।
অনুরূপ দিন দিন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যস্ততা বাড়ছে। বাড়ছে সীমান্ত ও উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এ কারণে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যাও রেড়ে যাওয়ায় মহাসড়কে জ্যাম লেগে থাকছে প্রতিনিয়িত। এ কারণে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি উঠেছে। এসব দাবি দাওয়ার সাথে কক্সবাজারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও এসব দাবি দাওয়ার প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছেন, কক্সবাজারেই আন্তর্জাতিক মানের একটি মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপনের দাবি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। সেই সাথে সারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে আসছে একমাত্র কক্সবাজার উপকূলের উৎপাদিত লবণ। অথচ সেই লবণের ন্যায্যমূল্য থেকেই বঞ্চিত হয় লবণ চাষিরা। তাই লবণ শিল্পের বিকাশের জন্য কক্সবাজারে লবণ বোর্ড ঘোষণার দাবিও জানানো হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, ‘মহেশখালীর মাতারবাড়ী-ধলঘাটাসহ দ্বীপের উন্নয়ন নিয়ে স্বতন্ত্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করাও সময়ের দাবি। কক্সবাজার সাগর পাড়ের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম সংলগ্ন আরো ২টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমপ্লেক্স করাও প্রয়োজন রয়েছে। তদুপরি আন্তর্জাতিক মানের একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ছাড়াও শত বছরের ঐতিহ্যের সাগর পাড়ের শহর কক্সবাজার পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীতকরণসহ স্বাস্থ্যকর স্থানে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি স্থায়ী প্ল্যান্ট স্থাপনেরও দাবি রয়েছে।