ধর্ষকদের শাস্তি ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা চেয়ে শাবি ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি

0
ধর্ষকদের শাস্তি ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা চেয়ে শাবি ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি

সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের দায়ে অপরাধীদের তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ছাত্রশিবির শাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (২৩ জুন) বিকালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিমের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা শিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার ও সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং সাম্প্রতিক ধর্ষণ ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু দাবিও তুলে ধরেন তারা। দাবি সমূহ হলো- উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে নির্মাণ সামগ্রীর মান, সময়মতো কাজ শেষ হওয়া এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে এসব উন্নয়ন কাজকে টেকসই ও স্বচ্ছ রাখতে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

নারী শিক্ষার্থীদের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল ব্যবস্থা জোরদার, পর্যাপ্ত লাইটিং, এবং নিরাপত্তা হেল্পলাইন চালু করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এক নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়, লজ্জাজনক এবং আমাদের সকলের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এই ঘটনা শুধু মর্মান্তিক নয়, বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও স্তম্ভিত করেছে। এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুততম সময়ে প্রশাসনিক ও আইনানুগভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এমন জঘন্য ঘটনা আর না ঘটে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর থেকে ছাত্রহল পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে রাস্তার সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ শুরু করার দাবিও জানাও তারা।

এসময় শিবিরের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫টিরও অধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। এই প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করবে বলে আমরা আশাবাদী। এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, শিক্ষা-গবেষণা পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা অনেকাংশে উন্নত হবে। আমরা এ প্রয়াসকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। তবে এসব উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের নজরে এসেছে যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে আমরা মনে করছি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here