টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকার?

0
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকার?

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, টিকটকের আমেরিকা অংশের মালিকানা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের একটি ‘কাঠামো’ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

মাদ্রিদে বাণিজ্য আলোচনা চলাকালে এই চুক্তি হয়। যা টিকটকের আমেরিকান অংশের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে। বেসেন্ট আরও জানান, আগামী শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই চুক্তি ‘চূড়ান্ত’ করবেন।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, আলোচনা ‘খুব ভালোভাবে’ এগিয়েছে। অন্যদিকে, চীনও একটি কাঠামো চুক্তির কথা নিশ্চিত করলেও জানিয়েছে, কোনো চুক্তিই চীনা কোম্পানিগুলোর স্বার্থের বিনিময়ে করা হবে না।

দীর্ঘদিন ধরে টিকটকের মূল চীনা মালিক বাইটড্যান্সকে তাদের আমেরিকান কার্যক্রম বিক্রি করার জন্য একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে কোনো ক্রেতা না পেলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি বন্ধ ও নিষিদ্ধ হয়ে যেত।

টিকটক বন্ধের হুমকির কারণেই চীনা আলোচকরা মার্কিন বাণিজ্য শুল্ক কমানোর দাবি থেকে সরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, এই বাণিজ্যিক শর্তগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে রক্ষা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ের জানান, এই চুক্তিটি ‘নেতাদের অনুমোদনের’ ওপর নির্ভরশীল। তবে তিনি এও বলেন যে, তার দল বারবার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়াতে আগ্রহী নয়।

অন্যদিকে, চীনের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক লি চেংগাং জানিয়েছেন, তার দেশ নিজেদের নীতি এবং চীনা কোম্পানিগুলোর স্বার্থের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না। যেকোনো চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে চীনা নেতৃত্ব তা পর্যালোচনা করবে বলেও তিনি জানান।

২০২৪ সালের এপ্রিলে পাস হওয়া একটি আইন অনুযায়ী, বাইটড্যান্স যদি টিকটকের আমেরিকান অংশ বিক্রি না করে, তাহলে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হবে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এই আইনটি বহাল রাখে।

মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে, টিকটক আমেরিকান ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করে যা ‘অসাধারণ গভীরতা ও মাত্রার জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি’ তৈরি করে।

বাইটড্যান্স বারবার দাবি করেছে যে, তাদের মার্কিন কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং চীনা সরকারের সঙ্গে কোনো ডেটা ভাগ করা হয়নি। কোম্পানিটি যুক্তি দিয়েছিল, এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ১৭ কোটি মার্কিন ব্যবহারকারীর বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করবে।

আইনটি কার্যকর হওয়ার পর জানুয়ারিতে টিকটক একদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করে ৭৫ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন।

সূত্র: বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here