উত্তরাঞ্চলে আবারও বন্যার পদধ্বনি

0
উত্তরাঞ্চলে আবারও বন্যার পদধ্বনি

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে আবারও বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে তিস্তাা নদী লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাাবিত হতে পারে। তবে ২য় ও ৩য় দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। শুক্রবার বিকেলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 
জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে উজানের পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিপাতে বিপৎসীমার উপর দিয়ে তিস্তা নদী পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এতে করে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছাউপজেলার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরগুলো প্লাবিত হয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের মৎস চাষীদেরপুকুরের মাছ ভেসে গিয়েছিল। তিস্তার নিম্নাঞ্চলে রোপা আমন ও সবজি ক্ষেতপানিতে ডুবে যায়। রংপুর , লালমনিরহাট , নীলপামারী ও কুড়িগ্রাম জেলার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে গঙ্গাচড়া সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার জায়গার ব্লক ধ্বসে যায়। এতে করে ভাঙনের হুমকিতে পড়েছিল সেতু ও রংপুর-লালমনিরহাটের যোগাযোগের সড়ক। বর্তমানে  নদীর তীরবর্তি এলাকায় আমন আবাদের পুরো মৌসুম চলছে। আবার বন্য হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ৩ দিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পরবর্তী ২ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি সমতল আগামী ৫ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল আগামী ৩ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পরবর্তী ২ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। 

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী  প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় তিস্তার যালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমার ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here