ইসরায়েলি হামলার পাল্টা প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি হুথির

0
ইসরায়েলি হামলার পাল্টা প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি হুথির

ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। আবাসিক এলাকা, তেল স্থাপনা, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ সংলগ্ন এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা অন্তত দশ দফা ভয়াবহ বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন। যার ফলে কালো ধোঁয়া ও অগ্নিকাণ্ড পুরো শহরকে ঢেকে ফেলে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম হামলাকে বৃহৎ সামরিক অভিযান বলে অভিহিত করেছে এবং দাবি করেছে, এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল হুথির শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা। এমনকি হামলায় ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজও অংশ নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে হুথি ইসরায়েলের এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। সংগঠনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাসর আল-দীন আমের বলেন, নেতাদের টার্গেট করার যে প্রতিবেদন ছড়ানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই হামলা ইসরায়েলের ঘোষিত কোনো লক্ষ্যই পূরণ করতে পারেনি। তিনি আরও জানান, গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে ইয়েমেন তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে।

ইয়েমেনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাশাত ইসরায়েলি ও মার্কিন আগ্রাসনকে তীব্র নিন্দা জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনেন এবং মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান মোতায়েনের বিষয়টি উপহাস করে বলেন, আমেরিকার অস্ত্রশস্ত্র কার্যত ব্যর্থ হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, গাজার অবরোধ ও আগ্রাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেন তাদের নীতিগত অবস্থান থেকে সরবে না।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই ইয়েমেন তাদের প্রতিরোধমূলক অভিযান জোরদার করেছে। এরই মধ্যে সানা ও লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হুদাইদাহসহ একাধিক কৌশলগত স্থাপনায় ইসরায়েল ও মিত্রশক্তি হামলা চালিয়েছে। এর ফলে বিমানবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।

সূত্র: তাসনিম নিউজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here